পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
শনিবার কোলাপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে পওয়ার বলেন, ‘এটা সত্যি যে আমরা ভোটে পরাজিত হয়েছি। তবে মন খারাপ করার কিছু নেই। মানুষের কাছে ফিরতে হবে। নির্বাচনের ফল নিয়ে সাধারণ মানুষ খুশি নন। ক্ষোভ বাড়ছে।’
আর এই ইস্যুতে বিরোধী শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি উপ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে। রবিবার তিনি বলেন, ‘আপনারা জিতলে ইভিএমে কোনওরকম কারচুপি হয় না। কিন্তু হারলেই মেশিন খারাপ হয়ে যায়। এটা ঠিক নয়। কাজ দেখে মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। তাই কান্নাকাটি না করে আমাদের উন্নয়নমূলক কাজকে স্বীকার করুন। জনাদেশ মেনে নিন।’ সিন্ধের সুরেই সুর মিলিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। বিজেপি নেতার তোপ, ‘পরাজয় স্বীকার করে নিলে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। আশা করি, আপনি সহকর্মীদের অন্তর থেকে বিবেচনা করার পরামর্শ দেবেন।’
প্রাপ্ত ভোটের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পাওয়ার। গতকাল তিনি বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস ৮০ লক্ষ ভোট পাওয়া সত্ত্বেও মাত্র ১৫টি আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে, ৭৯ লক্ষ ভোট নিয়ে ৫৭টি আসনে জয়ী হয়েছে একনাথ সিন্ধের শিবসেনা। ৫৮ লক্ষ ভোট পেয়ে ৪১ আসন পেয়েছে এনসিপির অজিত শিবির। অথচ এনসিপি (এসপি) ৭২ লক্ষ ভোট পাওয়া সত্ত্বেও মাত্র ১০টি আসন জিতেছে।’ এর উত্তর দিতে গিয়ে লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন সিন্ধে। তিনি বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে মহাযুতি জোটের পক্ষে গিয়েছিল ২ কোটি ৪৮ লক্ষ ভোট। অর্থাৎ ৪৩.৫৫ শতাংশ। আর মহাবিকাশ আঘাড়ি পেয়েছিল আড়াই কোটি ভোট (৪৩.৭১)। তবুও আসনে বড় ফারাক হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা ইভিএম দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলতে পারি তো?’