উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
বুধবার রাজ্যসভায় তিনি বলেন, ‘মণিপুর নিয়ে রাজনীতি করবেন না। এখন মণিপুরে সিংহভাগ এলাকাই স্বাভাবিক। কেন্দ্র এবং রাজ্য যৌথভাবে শান্তি ফেরানোর কাজ করছে। অফিস, আদালত, বাজার, স্কুল সবই স্বাভাবিক। এমনকী পরীক্ষাও চলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’ প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় চুপ থাকার পর অবশেষে মণিপুর নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিলেন মোদি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে নীরব রইলেন মণিপুরের কাংপোকপি জেলার ফায়নম গ্রাম কিংবা চূড়াচাঁদপুর নিয়ে। বদলে বুধবার রাজ্যসভায় তীব্র নিন্দা করলেন পশ্চিমবঙ্গের চোপড়া এবং সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের ঘটনার।
গত এক বছরে একবারের জন্যও মণিপুরে পা রাখেননি মোদি। এখন সংঘর্ষ বিধ্বস্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে তিনি মরিয়া হয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, এখন আর কোনও হিংসার ঘটনা ঘটছে না মণিপুরে। বললেন, ১১ হাজারের বেশি এফআইআর হয়েছে। পাঁচশোর বেশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশে বসা অমিত শাহকে দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরে গিয়ে থেকেছেন। সকলের সঙ্গে কথাও বলেছেন। একইসঙ্গে বিরোধীদের সতর্ক করে মোদি বলেন, ‘আগুনে ঘি ঢালবেন না।’ এর পরেই মণিপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ইতিহাস তুলে ধরেন তিনি। জানান, ১৯৯৩ সালেও সংঘর্ষ হয়েছিল। তা চলেছিল ৫ বছর ধরে। সুতরাং মণিপুরে সংঘাতের ইতিহাস নতুন নয়। সেই কারণেই ১০ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে হয়েছে।
বিরোধীদের পাল্টা প্রশ্ন, লোকসভা ভোটে মণিপুরে হেরে যাওয়ার পর অবশেষে এই রাজ্যকে মনে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর। গত এক বছর ধরে তিনি উত্তর-পূর্ব ভারত ভ্রমণ করে চলেছেন। অরুণাচল, নাগাল্যান্ড, অসমে গেলেও বাদ গিয়েছে শুধু মণিপুর। এবার দু’টি লোকসভা আসনে বিজেপিকেই বাদ দিয়ে দিয়ে যেন সেই অবহেলা-বঞ্চনারই জবাব দিয়েছে মণিপুরবাসী।