চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
আর এই প্রেক্ষিতে সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এর সামগ্রিক প্রভাব এবারের বাজেটে পড়তে পারে। অর্থাৎ, চলতি মাসে ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের যে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হতে চলেছে, তাতে নমামি গঙ্গে খাতে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ কমে যেতে পারে। যদিও এ বিষয়ে জলশক্তি মন্ত্রক সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে নমামি গঙ্গের বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তব পরিস্থিতি সংক্রান্ত সর্বশেষ রিপোর্ট।
তাতে দেখা যাচ্ছে, এর আওতায় নদী দূষণ কমানো সংক্রান্ত মোট প্রকল্প রয়েছে ৩৬১টি। তার মধ্যে ১৩৮টি প্রকল্পই বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। হয় কাজ শুরু হয়নি, নাহলে সবেমাত্র দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়া চলছে অথবা কাজ শুরু হলেও তা একেবারেই প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। এই দূষণ কমানো সংক্রান্ত প্রকল্পেরও আবার পাঁচটি ভাগ রয়েছে। নিকাশি সংক্রান্ত, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এফ্লুয়েন্ট সিস্টেম, নজরদারি (সার্ভেলেন্স অ্যান্ড মনিটরিং) এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট। ওই নিকাশি সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির অগ্রগতির হার তুলনায় কম। এমনই ইঙ্গিত মিলেছে জলশক্তি মন্ত্রকের রিপোর্টে।
সবমিলিয়ে নমামি গঙ্গের আওতায় থাকা প্রকল্পগুলিকে মোট পাঁচ ভাগে ভাগ করে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেগুলি হল পলিউশন অ্যাবেটমেন্ট প্রজেক্ট, ইকলজিক্যাল প্রজেক্ট, লাইভলিহুড প্রজেক্ট, পাবলিক আউটরিচ প্রজেক্ট এবং নলেজ প্রজেক্ট। জলশক্তি মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে, সবমিলিয়ে এক্ষেত্রে মোট প্রকল্পের সংখ্যা ৪৬৫টি। অথচ কাজ শেষ হয়েছে ২৮৮টি ক্ষেত্রে। অর্থাৎ, সার্বিকভাবে ১৭৭টি ক্ষেত্রে এখনও কাজ বাকি রয়েছে। রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে, এই ৪৬৫টি প্রকল্পের মোট অনুমোদিত বরাদ্দের পরিমাণ ৩৮ হাজার ৬৯৮ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। এবং ৩১ মে, ২০২৪ পর্যন্ত এক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ ১৮ হাজার ৭৪২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা।