চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সাগরিকা কখনও রবীন্দ্রনাথের ‘প্রার্থনা’ কবিতা, কখনও মহাত্মা গান্ধীর ১৯৩৬ সালের হরিজন পত্রিকার প্রবন্ধ, আবার কখনও শেকসপিয়ারের মার্চেন্ট অফ ভেনিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করেছেন এনডিএ সরকারকে। সমালোচনা করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অভিভাষণকে। বলেছেন, যে সময়ে আমরা বাস করছি, রাষ্ট্রপতি যে প্রসঙ্গ তুলেছেন, সেখানে ছত্রে ছত্রে রয়েছে গণতন্ত্রে অভাব। একে বলা যায় ডেমোক্রেসি ডেফিসিট। কেন এই নামকরণ? যেখানে বহুত্ববাদী ভারতকে একটিমাত্র আদর্শে পরিণত করার প্রবল চেষ্টা করা হয়, সেটাই ডেমোক্রেসি ডেফিসিট। যেখানে নাগরিকত্ব বিবেচিত হয় ধর্ম দিয়ে, সেখানেই ডেমোক্রেসি ডেফিসিট। যেখানে মণিপুর নামক একটি শব্দ উচ্চারিত হয় না সরকারের বিবৃতিতে সেটাই ডেমোক্রেসি ডেফিসিট।
সাগরিকা শেকসপিয়ারের মার্চেন্ট অফ ভেনিস থেকে পোর্শিয়ার একটি বিখ্যাত ভাষণের উল্লেখ করেন, দ্য কোয়ালিটি অফ মার্সি ইস নট স্ট্রেইনড...। তিনি বলেন, লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর আজীবনের স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ধ্বংস হয়ে যায়, অথচ সরকার তাদের পাশে দাঁড়ায় না। সেটাই হল সহানুভূতির অভাব। সাগরিকা প্রতিবাদ করেন ধর্মীয় বিদ্বেষের। বলেন,ভারতের মতো দেশে ‘হেট ল্যাবরেটরি’ চালানো হচ্ছে মানুষে মানুষে বিভাজনের জন্য। সংসদ সদস্য হিসাবে প্রথম বক্তৃতায়, তৃণমূল এমপি সাগরিকা দলমত নির্বিশেষে এদিন মুগ্ধ করেন রাজ্যসভাকে। বক্তৃতা শেষে দেখা যায় বিভিন্ন দলের এমপিরা উঠে এসে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে করমর্দন করছেন। সাগরিকা মনে করিয়ে দিয়েছেন, মহাত্মা গান্ধীর বাণী। গান্ধীজি বলেছিলেন, সমাজ পাল্টানোর আগে নিজেকে পাল্টাও। মহাভারত আসলে নিজের অন্তরে থাকা মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর সংগ্রামের কাহিনি। রাষ্ট্রকেও সেরকমই করতে হবে!