নয়াদিল্লি: জেলবন্দি কাশ্মীরের সাংসদ রশিদ ইঞ্জিনিয়ারের শপথ গ্রহণের বাধা কাটল। সোমবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এব্যাপারে ছাড়পত্র দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার এই নিয়ে রায় দেবেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক চান্দের জিৎ সিং। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শুক্রবার সাংসদ পদে শপথ নিতে পারবেন শেখ আবদুল রশিদ ওরফে রশিদ ইঞ্জিনিয়ার। সোমবার এনআইএ-র আইনজীবী অবশ্য রশিদের শপথে সম্মতি নিয়ে দু’টি শর্ত দিয়েছেন। প্রথমত, তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত, রশিদের শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া একদিনেই শেষ করতে হবে। ২০১৭ সালের জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত নিয়ে একটি মামলায় ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হন রশিদ। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তিহার জেল থেকেই তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে কাশ্মীরের বারামুলা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। এরপর সাংসদ হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য তিনি অন্তর্বর্তী জামিন অথবা কাস্টডি প্যারোলের আবেদন করেন। ২২ জুন তাঁর আবেদন নিয়ে শুনানি স্থগিত রাখে বিশেষ আদালত। এই নিয়ে আদালত এনআইএ-র মতামত জানতে চায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ এবং জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারপরই রশিদের শপথ গ্রহণে সবুজ সঙ্কেত দিল এনআইএ।
শুনানির সময় রশিদের আইনজীবী আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের উদাহরণ টানেন। জেলবন্দি সঞ্জয়কে রাজ্যসভা প্রার্থী করে আপ। শপথ নেওয়ার জন্য তাঁকে কাস্টডি প্যারোলের ছাড়পত্র দেয় আদালত। এনআইএ জানায়, সঞ্জয় এবং রশিদকে গ্রেপ্তারের ধারা ভিন্ন। উল্লেখ্য, উপত্যকার জঙ্গি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আর্থিক মদতের অভিযোগে কাশ্মীরের ব্যবসায়ী জাহুর ওয়াতলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে জেরা করেই রশিদ ইঞ্জিনিয়ারের খোঁজ পায় এনআইএ। এরপর ২০১৯ সালে ইউএপিএ-তে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তিনি তিহার জেলে রয়েছেন।