কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
এই মুহূর্তে ট্রেনে রান্না করা খাবার দেওয়ার নিয়ম নেই। তাও বেশ কিছু জায়গা থেকে ট্রেনে অবাধে রান্না করা খাবার দেওয়ার অভিযোগ আসছিল। সেই খাবারের গুণগত মান খারাপ হওয়ায় এবং তার বদলে বিল না পেয়ে যাত্রীদের একটা বড় অংশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। যদিও আইআরসিটিসি’র তরফে অবশ্য ট্রেনে ‘রেডি টু ইট’ মিল বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু কোম্পানিকে। কিন্তু সেই খাবারের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। সেই সঙ্গে বিল না দেওয়ার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তারা। যেমন, হাওড়ার ডোমজুড় মাকড়দহের বাসিন্দা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সপরিবারে পুজোর পর বেড়াতে গিয়েছিলেন উত্তর ভারতের শিবকাশী। ২৪ অক্টোবর তিনি নিউ দিল্লি স্টেশন থেকে হাওড়ামুখী রাজধানীতে ওঠেন। স্টেশনে জানতে পারেন ট্রেনে প্যান্ট্রি কার থাকছে। রাতে আইআরসিটি’র লোক খাবারের অর্ডার নিতে এলে আলু জিরা ও পরোটার দু’টি এবং ভাত ও পনির কারির দু’টি প্যাকেট অর্ডার করেন তিনি। মোট চার প্যাকেট খাবার বাবদ তাঁর থেকে নেওয়া হয় ৬৪০ টাকা। এরপরই সমস্যার সূত্রপাত। রাজীববাবু বলেন, আমি খাবারের বিল চেয়েছিলাম। কিন্তু টাকা নিয়েও বিল দেওয়া হয়নি।
তবে আর তর্কে যাইনি। কিন্তু পরে দেখলাম, খাবারের নামে যা এসেছে, তার একটিও খাবার যোগ্য নয়। পরোটা প্রায় পুরোটাই কাঁচা আর শক্ত। ভাত তখনও চাল রয়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে খিদে মেটাতে কিছুটা খেয়েছি। তবে অধিকাংশই ফেলে দিতে হয়েছে। প্যাকেটে দেখলাম, গুজরাটের একটি কোম্পানির সরবরাহ করা খাবার। বোঝাই যাচ্ছে, পয়সা নিয়ে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার ব্যবসা ফেঁদেছে। রাজধানীর খাবারের সুনাম ছিল। যা দেখলাম, তাতে আর কোনওদিন রেলে খাবার অর্ডার দেওয়ার ইচ্ছা হবে না।
অন্যদিকে, খাবার কোম্পানিটি তাদের অনুমোদিত বলে স্বীকার করে আইআরসিটিসি’র মধুমিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পাইনি এবিষয়ে। তবে আমরা কিছু স্যাম্পেল সংগ্রহ করে কোয়ালিটি চেক করি। তাই আমরা খতিয়ে দেখব বিষয়টি। যাঁরা দ্বায়িত্বে আছেন, তাঁদের কাছেও জানতে চাইব, এমন অভিযোগ কেন আসছে। বিল না দেওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।