কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
বাগেশ্বর জেলার পুলিস সুপার অমিত শ্রীবাস্তব বলেন, পর্যটকদের একটি গাড়ি অন্য একটি গাড়িকে ধাক্কা মেরে গভীর খাদে পড়ে যায়। পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সাতজনের চোট গুরুতর। চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একজন যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমরা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এনে রেখেছি। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে দেরাদুনে স্থানান্তরিত করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর পরই ২১ অক্টোবর ওই বাঙালি পর্যটকের দল উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশে রওনা দেয়। ৩০ অক্টোবর নৈনিতাল থেকে ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। মূলত আসানসোল, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর সহ শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা পরিবার নিয়েই এই ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। এদিন সকালে মুন্সিয়ারি থেকে কৌশানীর উদ্দেশে তিনটি গাড়িতে তারা রওনা দেয়। দুপুর দেড়টা নাগাদ মাঝের গাড়িতে থাকা আসানসোল জেলা হাসপাতালের সহকারী সুপার কঙ্কন রায় বুঝতে পারেন, পিছন থেকে কোনও গাড়ি তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা মারে। তিনি বলেন, নেমে দেখি আমাদের পিছনের গাড়িটি গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ছে। মর্মান্তিক সেই দৃশ্য দেখার পর নিজেদের সামলে উদ্ধারের চেষ্টা করি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিক এবং উদ্ধারকারী দল।
পুলিসের ধারণা, পাহাড়ী রাস্তায় খুব সম্ভবত মাঝের গাড়িটি গতি কমাতেই পিছনের গাড়িটি তাকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিতে ১১জন পর্যটক ও একজন স্থানীয় চালক ছিলেন। পাঁচজন মারা যান। দ্বিতীয় গাড়িতে থাকা চার যাত্রী অল্পবিস্তর চোট পান। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পর্যটক দলটির সুস্থ সদস্যদের কাপকোটের একটি হোটেলে রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। রীতিমতো আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন তাঁরা। সোশ্যাল সাইটে এই খবর পোস্ট হতেই শিল্পাঞ্চলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতদের একজন রানিগঞ্জ টিডিবি কলেজের প্রাক্তন কর্মী, অন্যজন সিটু নেতা। দুর্গাপুর থেকে আসানসোল, রানিগঞ্জ সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন এমপি বংশগোপাল চৌধুরী বিষয়টি জেলাশাসকের নজরে আনেন।
জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ বলেন, রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে উত্তরাখণ্ড সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।