কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন এনসিবি কর্তা। সোমবারই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। বুধবার সমীরের সংযোজন, ‘জন্মসূত্রে আমি একজন হিন্দু। দলিত পরিবারের সদস্য। আজও আমি হিন্দু। কোনওদিন ধর্মান্তরিত হইনি।’ এরপরই বিয়ে প্রসঙ্গে সমীর জানান, ‘আমার বাবা হিন্দু। মা মুসলিম। মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী আমি মুসলিম রীতিতে বিয়ে করেছিলাম। তবে ওই মাসেই নিয়ম মেনে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী বিয়ে নথিভুক্তও করেছিলাম। পরে আইন মেনে আমরা বিবাহবিচ্ছেদও করি। ধর্মান্তরিত হলে নবাব মালিক শংসাপত্র দেখাক।’ প্রথম বিবাহ নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে স্বামীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন ওয়াংখেড়ের দ্বিতীয় স্ত্রী ক্রান্তি রেদকর। নবাবের বক্তব্যকে খণ্ডন করে তাঁর পাল্টা যুক্তি, ‘নিকাহনামা সঠিক। নিকাহ হয়েছিল, কিন্তু, সমীর আইনত ধর্ম বা জাতি পরিবর্তন করেনি। শাশুড়ি-মায়ের ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে মুসলিম রীতি মানা হয়েছিল। ’ সম্প্রতি নিজের বক্তব্যের সমর্থনে ওয়াংখেড়ের জন্মের শংসাপত্রও প্রকাশ্যে এনেছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী। সেই অভিযোগও নস্যাত্ করে দিয়েছেন ক্রান্তি। তাঁর বক্তব্য, নবাব মালিক ভুয়ো কাগজ দেখাচ্ছেন। সংবিধানিকভাবে মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু, সেই মতো কাজ করছেন না। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেব।
নয়া বিতর্কে এনসিবি কর্তার বাবাকেও জড়িয়েছেন নবাব। তাঁর অভিযোগ, এনসিবির রেকর্ডে সমীরের বাবার নাম জ্ঞানদেব ওয়াংখেড়ে লেখা থাকলেও আসলে তাঁর নাম দাউদ। নবাবের এই দাবি অস্বীকার করেছেন সমীরের বাবা। তিনি জানিয়েছেন, আমার স্ত্রী মুসলিম। ভালোবেসে তিনি আমাকে দাউদ বলে ডাকতেন। এর বেশি কিছু নয়। আমরা পরিবারের কেউ ধর্ম পরিবর্তন করেনি।
এনসিবি কর্তা ধর্মান্তরিত হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করায় পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী। তাঁর দাবি, অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। তবে সত্যি হলে ওয়াংখেড়েকে চাকরি ছাড়তে বলবেন না। কারণ, ভুয়ো তথ্যের জন্য এমনিতেই তাঁর চাকরি যাবে।