কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
আরিয়ানকে হেফাজতে নিতে অন্যদের সঙ্গে তাঁর চ্যাটকেই হাতিয়ার করছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। এই নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন রোহতগি। তিনি জানান, ওদের কাছে আরিয়ানের ফোন রয়েছে। কিন্তু, আমাদের কিছুই জানায়নি। আরিয়ানের চ্যাটও আমাদের দেখতে দেওয়া হয়নি। এনসিবি আমাদের ভুল পথে চালিত করছে। কারণ, ওরা কিছুতেই বলছে না, ঠিক কী পাওয়া গিয়েছে। তাঁর সংযোজন, হেফাজতে নেওয়ার জন্য এনসিবি যে আর্জি জানিয়েছে, তা দেখে মনে হতে পারে আরিয়ানের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে। এই ধরনের আবেদন সর্বদাই সত্য ও তথ্যনির্ভর হওয়া উচিত।
বুধবার আরিয়ানের পাশাপাশি আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচারও জামিনের শুনানি ছিল। মুনমুনের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী আলি কাশিফ খান। তিনি বলেন, মক্কেলের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মুনমুন কোনওদিন মাদক নেননি। ক্রুজে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এনসিবির তল্লাশির সময় সৌম্যা ও বলদেবের সঙ্গে একটি ঘরে বসেছিলেন তিনি। মাদক সেবন বা কারবারের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। গ্রেপ্তারিকে বেআইনি বলে দাবি করেছেন আরবাজ মার্চেন্টের আইনজীবীও। বৃহস্পতিবার এনসিবির তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অনিল সিং বক্তব্য রাখবেন।
মাদক মামলায় শাহরুখ পুত্র গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এনসিবিকে একটানা নিশানা করছেন মহারাষ্ট্রে মন্ত্রী নবাব মালিক। তাঁর আক্রমণের মূল লক্ষ্যই তদন্তকারী সংস্থার জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। বুধবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন এনসিপি নেতা নবাব। তাঁর অভিযোগ, ওই প্রমোদতরী বা ক্রুজে প্রেমিকাকে নিয়ে হাজির ছিলেন আন্তর্জাতিক এক মাদক মাফিয়াও। বন্দুক হাতে ওই মহিলা ফ্লোরে নাচও করছিলেন। ওই মাফিয়ার দাড়ি ছিল। শীঘ্রই আমি আরও বিস্তারিত জানাব। নবাবের দাবি, এনসিবির আধিকারিকরাও জানতেন ওই মাফিয়া প্রমোদতরীতে রয়েছেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে ধরা হয়নি। বেছে বেছে কয়েকজনকে আটক করা হয়। ওই মাফিয়ার সঙ্গে এনসিবি কর্তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে অভিযোগ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর। তাঁর বক্তব্য, মাদক মাফিয়া ওয়াংখেড়ের বন্ধু। তাই তাঁকে ধরা হয়নি।
মাদক-কাণ্ডে আরিয়ানকে ফাঁসানো হয়েছে বলে একাধিকবার দাবি করেছেন নবাব। এর জন্য ওয়াংখেড়েকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের টার্গেট করা হচ্ছে। বলিউডের অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরই এই ‘খেলা’ শুরু হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের নজর টানতেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে মত মন্ত্রীর।
মালিকের অভিযোগ, রিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা ছিল। হাইকোর্টও তাঁকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে। দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কপুরকে তদন্তের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের নজরও সে দিকেই ছিল। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি।