সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
চীনা গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত হান জুনওয়েকে জেরা করে তদন্তকারী অফিসাররা জেনেছেন, তার সঙ্গেই এদেশে এসেছিল স্ত্রী ও দুই সন্তান। এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা এদেশে ছিল। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি সহ বিভিন্ন থেকেছিল এই সময়কালে। তাকে নিয়ে এসেছিল সান জিয়াং নামের এক ব্যক্তি। গোয়েন্দারা জেনেছেন, জুন ও তার স্ত্রী দু’জনেই গুপ্তচর বৃত্তি করতে এদেশে এসেছিল। পরে তার স্ত্রী ফিরে গেলেও জুন এদেশে থেকে যায়। চীনে ফেরার আগে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে জুনওয়ের স্ত্রী বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর ভারতীয় সিম তুলেছিল। এই সংখ্যা দু’হাজারের কাছাকাছি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। এগুলি নিয়েই সে চীনে পাড়ি দিয়েছে। এই সিমের কথা জুনওয়ে জানে। অফিসারদের ধারণা, চীনে গুপ্তচর বৃত্তির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন লোকের হাতে এই সিম তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা পরে ভারতে আসবে এবং এই সিম ব্যবহার করে এদেশের বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করবে।
এসটিএফ জেনেছে, এদেশে চীনা গুপ্তচরদের টাকার জোগান আসছে সে দেশ থেকে। ওই টাকা জমা পড়ছে বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাকাউন্টে। যে অ্যাকাউন্টগুলি ভারতীয়দের নথি দিয়ে খোলা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেখান থেকে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তবে চীনের যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা আসছে, সেই অ্যাকাউন্টের মালিকের আদৌ অস্তিত্ব আছে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। পাশাপাশি প্রতারণার টাকাও হাওলার মাধ্যমে চীনে পাঠানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই টাকা কার কাছে গিয়েছে এবং কোথায় খাটছে, তা জানার চেষ্টা করছেন অফিসাররা।