কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
বাবরি-রাম জন্মভূমি বিবাদের ইতিমধ্যেই নিষ্পত্তি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ৫ আগস্ট রামমন্দিরের ভূমিপুজোও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বাবরি সৌধ ধ্বংসের সেই ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা এই মামলা গতি পায় সম্প্রতি। ২০১৭ সালের এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিদিন এই মামলার শুনানির নির্দেশ দেয়। প্রথমে ঠিক ছিল এই মামলার রায় ঘোষিত হবে ১৯ এপ্রিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে সেই তারিখ পিছিয়ে যায়। শেষে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রায় দিতেই হবে বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার সেই দিনক্ষণ শেষ হচ্ছে। ওইদিনই রায় দেবেন বিচারক যাদব। ভাগ্য নির্ধারিত হবে ৯২ বছরের আদবানি ও ৮৬ বছরের যোশির।
আদবানি, যোশি ও ভারতী ছাড়াও বাবরি ধ্বংস মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিনয় কাটিয়ার ও সাধ্বী রীতাম্বরা। বয়সের কারণে আদবানি, যোশি উপস্থিত নাও থাকতে পারেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় উমা ভারতী ও কল্যাণ সিংয়ের চিকিৎসা চলছে পৃথক দু’টি হাসপাতালে। ফলে বিচারকের নির্দেশ মেনে রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতে থাকতে পারবেন কি না, তাও স্পষ্ট নয়। কল্যাণ সিং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অয্যোধার ওই বিতর্কিত কাঠামো ধ্বংস করা হয়েছিল। গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ঘটনাচক্রে এই মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন রামমন্দির নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাইও।
এই মামলায় মোট ৩৫১ জনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে পেশ করে সিবিআই। পাশাপাশি তথ্য-প্রমাণ হিসেবে পেশ করা হয় ৬০০টি নথি। চার্জ গঠন করা হয়েছিল মোট ৪৮ জনের বিরুদ্ধে। তবে বিচারের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি অশোক সিংঘল, প্রাক্তন শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব থ্যাকারে, মহন্ত অবৈদ্যনাথ, বিষ্ণুহরি ডালমিয়া, গিরিরিাজ কিশোর সহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।