সৎসঙ্গ ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠে মানসিক তৃপ্তি। কাজকর্মের ক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ থেকে উপকৃত ... বিশদ
একাধিক অনুষ্ঠানে মহিলাদের স্বনির্ভর করার ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের প্রাধান্য দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায়। কিন্তু, বাস্তব চিত্র বলছে একেবারে ভিন্ন কথা। এক্ষেত্রে বাংলার ধারে কাছে নেই গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, অসম, বিহার, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়ের মতো ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলি।
এবিষয়ে শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেওয়া একাধিক কর্মসূচি রাজ্যের আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আর এর অন্যতম কারণ হল মহিলাদের ক্ষমতায়ন। বিগত ১৩ বছরে মহিলাদের নানান প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে স্বনির্ভর করে তোলা মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান লক্ষ্য ছিল। তার জেরেই আজ রাজ্যে এই সাফল্য।
ক্ষুদ্রশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা জানান, একদিনে নয়, মুখ্যমন্ত্রী লাগাতার লেগে থেকে একের পর এক পদক্ষেপ করার জেরেই আজ মহিলারা স্বনির্ভর হয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে। ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে উদ্যম পোর্টাল চালু করেছে কেন্দ্র। এই পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন হওয়া ক্ষুদ্র শিল্পের সংস্থার সংখ্যার উপর ভিত্তি করেই কেন্দ্র এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে ২ কোটি ২০ লক্ষ ক্ষুদ্র শিল্পের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বা তার মালিক হলেন মহিলারা। যার মধ্যে সর্বাধিক মহিলা মালিক রয়েছেন বাংলায়। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি নবান্ন সভাঘরে অনুষ্ঠিত ষোড়শ অর্থ কমিশনের বৈঠকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের মহিলাদের স্বনির্ভর হয়ে ওঠার বিষয়টি প্রাধান্য পায়। সেখানেও এত সংখ্যক মহিলার ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থার মালিক হয়ে ওঠাকেও কমিশনের সদস্যরা প্রশংসা করেছেন বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, হস্তশিল্প ক্ষেত্রেও প্রায় ৫৮.৫ শতাংশ তাঁতি। সেখানেও যুক্ত মহিলারা। রাজ্যের ১০ হাজার শিল্পীকে নিয়ে চালু হওয়া ‘প্রজেক্ট মসলিন’ প্রকল্পেও যুক্ত রয়েছেন ৪০ শতাংশ মহিলা।