পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
চলতি ২০২৪-২৫ খরিফ মরশুমে ধান কেনার প্রক্রিয়া নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আগামী বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে মোট ৬৮ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। ওই বৈঠকে পেশ করা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নভেম্বর মাসে ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার টন ধান চাষিদের কাছ থেকে কিনেছে সরকার, যা মাসিক লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি। সাম্প্রতিক অতীতে নভেম্বর মাসে এত বেশি ধান কেনা হয়নি। খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত মোট ধান কেনার পরিমাণ ৯ লক্ষ ৯ হাজার টন। সাধারণত নতুন ধান ওঠা শুরু হওয়ার পর ডিসেম্বর মাস থেকে ধান কেনার পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। মার্চ মাস পর্যন্ত বেশি পরিমাণে ধান কেনা হয়। খরিফ মরশুমে যে ধান কেনা হয়, তার বেশিরভাগটাই হয় ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে।
স্বচ্ছ পদ্ধতিতে প্রকৃত চাষিদের কাছ থেকে যাতে ধান কেনা হয়, তা নিশ্চিত করতে আগে থেকেই এবার বিশেষ সতর্কতা নিয়েছিল খাদ্য দপ্তর। আধার নম্বরের বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমে চাষিদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। ধান কেনার সময়ও আধার নম্বরের বায়োমেট্রিক যাচাই করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সম্প্রতি মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ নবান্নে ধান কেনা নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন। ধান কেনার প্রক্রিয়ায় কোনও অবস্থাতেই যাতে দালালরা নাক গলাতে না পারে, তার জন্য কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে।
খাদ্যদপ্তরের বৈঠকে পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সরকারি উদ্যোগে যে ধান কেনা হয়েছে, তার বেশিরভাগটাই হয়েছে স্থায়ী কেন্দ্রীয় ক্রয়কেন্দ্র থেকে। চাষিদের সুবিধার জন্য গ্রামে গিয়ে ধান কিনতে ভ্রাম্যমান ক্রয়কেন্দ্র চালু করা হলেও কিছু জেলায় এভাবে ধান কেনার পরিমাণ খুব কম। কোনও কোনও জেলায় একেবারেই হয়নি। তাই প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে সপ্তাহে চার-পাঁচদিন ভ্রাম্যমান ক্রয়কেন্দ্রের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্যদপ্তর। গ্রামীণ সমবায় সোসাইটিগুলিকেও অস্থায়ী শিবির খুলে ধান কেনার পরিমাণ বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।