পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
বিজেপি বিধায়ক ওই প্রতিনিধি দলে যাবেন। এই বিষয়টির মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। এটা রাজ্যের স্বার্থের বিষয়।
প্রস্তাবের উপর জবাবি ভাষণ দেওয়ার সময় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিরোধী দলনেতার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, একসঙ্গে যেতে রাজি থাকার কথা জেনে ভালো লাগল। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় যে মাধুর্য আছে সেটা এখন ওঁরা বুঝছেন, আগে বুঝতেন না। এর পাশাপাশি বক্তব্য রাখার সময় তাঁকে ‘মাননীয়’ বলে সম্বোধন করার জন্যও বিরোধী দলনেতাকে ধন্যবাদ জানান চন্দ্রিমাদেবী। অর্থমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রয়োজনীয় অনুমোদন আছে সেটা তাঁরা জানেন। তাঁরা চাইছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এব্যাপারে সচেষ্ট হোক।
বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে যে ধরনের সম্পর্ক গত কয়েক বছর ধরে রয়েছে তার প্রেক্ষিতে এদিনের এই ঘটনাটি অন্যরকম এবং তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্যের কোনও ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের কাছে একসঙ্গে শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের যেতে রাজি হওয়ার ঘটনা আগে কখনও হয়নি। কয়েক মাস আগে বিধানসভায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনা ছিল। সেখানে বিরোধী দলনেতার অনুরোধ মেনে লিখিত প্রস্তাবে একটি সংশোধনী আনতেও রাজি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো সংশোধনী আনার পর প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সরাসরি বিমান চালু করা সংক্রান্ত এই প্রস্তাবটি নিয়ে এদিন বিধানসভায় আলোচনার হয়। তখন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের কিছুটা চাপানউতোর চলে। তৃণমূল কংগ্রেসের দেবাশিস কুমার বলেন, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে হেয় করতে এবং পিছিয়ে দিতে চাইছে। এই কারণে কলকাতা থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় সরাসরি বিমান চালু করার ব্যাপারে তারা সক্রিয় নয়। এতে যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে। বাংলায় বিদেশি পর্যটক কম আসছেন। বিজেপি বিধায়ক বিশাল লামা এবং অরূপ দাস অবশ্য কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ খারিজ করেন। তাঁরা যুক্তি দেন, রাজ্য শিল্প-বাণিজ্যে পিছিয়ে। এজন্যই এখান থেকে বিদেশে যাওয়ার বিমানযাত্রী কম এবং ইউরোপ ও আমেরিকার মধ্যে সরাসরি বিমান চালাতে বিমান সংস্থাগুলি আগ্রহী নয়।