পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরে দু’বার পড়ুয়া ভর্তির কথা ইউজিসি আগেও বলেছিল। এবার তারা স্নাতকের পাশাপাশি স্নাতকোত্তরেও এই ব্যবস্থা চালুর উপরে জোর দিচ্ছে। চলতি বছর ইতিমধ্যেই স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে, ইউজিসির এই নির্দেশ মানতে গেলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ফের ভর্তি প্রক্রিয়া চালাতে হবে। আর স্নাতকে ভর্তি যেহেতু সরাসরি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে হয়েছে, সেক্ষেত্রে সরকারকে ফের একবার তা খুলতে হতে পারে। শুধু বছরে দু’বার ভর্তিই নয়, যে কোনও বছরে কোর্স শেষ করার সুযোগ দিতে হবে। উদার হতে হবে যে কোনও সেমেস্টারে পড়ুয়া ভর্তির ব্যাপারেও। পরিকাঠামো, লোকবল না বাড়িয়ে এই কাজ করা কার্যত অসম্ভব। এর পাশাপাশি, ‘রেকগনিশন টু প্রায়র লার্নিং’ নামে একটি বিষয়কেও অবশ্য পালনীয় করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে কোনও পড়ুয়ার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে কর্মজগতে বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে অর্জিত জ্ঞানকে মান্যতা দিতে হবে। সেটার মূল্যায়নও করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে। এছাড়া, ফিল্ড ওয়ার্ক, ইন্টার্নশিপ প্রভৃতিকে খুব জোরের সঙ্গে আবশ্যিক করা হয়েছে। এছাড়া, পড়ুয়ার ইচ্ছানুযায়ী সময় কমিয়ে বা বাড়িয়ে ডিগ্রিলাভের ব্যবস্থা (এডিপি এবং ইডিপি) সম্পর্কে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওরও প্রকাশ করা হয়েছে। এসবও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে চালু কোর্সগুলিতে। ব্রাত্য বসু এ প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়ে লিখেছেন, ইউজিসির সাধ অনেক। তবে, সাধ্যের বিষয়ে তারা নীরব। সাধারণ ছেলেয়েদের সাধ্যের বাইরে শিক্ষাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে তাঁর মত। অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি নস্কর বলেন, এতে হরেকরকম ডিগ্রি লাভই হবে। তবে, পড়ুয়ারা প্রায় কিছুই শিখবে না। পরিকাঠামো, লোকবল, আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে কোনও কথা নেই। বিভিন্ন বিষয়ে ধোঁয়াশাও রেখেছে তারা। সব মিলিয়ে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার যেটুকু শৃঙ্খলা ছিল, সেটাও ইউজিসি নষ্ট করে দিচ্ছে।