অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা উৎখাতের পর চরম ভারত বিরোধিতা পর্বে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের উপদেষ্টা সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, এবার সস্তায় ইলিশ পাবে বাংলাদেশের মানুষ। কোনও ইলিশ রপ্তানি করা হবে না ভারতবর্ষে। নতুন সরকারের এই ঘোষণার পর সমাজমাধ্যম জুড়ে ‘স্বপ্নবিলাসী’ বাংলাদেশি নেটিজেনরা প্রচার করে এবার মাত্র ৫০০-৬০০ টাকায় ইলিশ মিলছে দেশের বিভিন্ন বাজারে। ক্রমেই তা ভাইরাল হয়। সেই সব স্বপ্নবিলাসীদের কথায় ভরসা করে বাজারে গিয়ে অবশ্য মোহভঙ্গ হয়েছে ওপারের বাসিন্দাদের। কোনওভাবেই বাংলাদেশের ইলিশের কেজি ১৬০০-১৮০০ টাকার নীচে নামেনি। বরং ইদানিং দাম আরও বেড়েছে। দেশীয় বাজারে ইলিশ ক্রেতার অভাবে ধুঁকছিলেন বাংলাদেশের মৎস্য ব্যবসায়ীরাও। আমেরিকা, কানাডা এবং ফ্রান্সের মতো দেশগুলি বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায়, আরও বিপাকে পড়েন ব্যবসায়ীরা। তাঁরাও চাপ বাড়াচ্ছিলেন নতুন সরকারের উপর। এপারের ফিশ এক্সপোর্টাসর্দের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়ে ইলিশ পাঠানোর অনুরোধ করা হয়। সবদিক বিবেচনা করার পর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিল বাংলাদেশ সরকার।
এদিকে, ইলিশ রপ্তানির খবর পেয়েই ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ভারত বিরোধী অংশ। সমাজমাধ্যমে তাদের প্রচার, এতদিন ‘উপহার’ হিসেবে যেত, এবার ডলার রোজগার করতেই পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের অতুলবাবু বলেন, পুজোর সময় বাংলাদেশের ইলিশ প্রতি কেজি ১০ ডলার দামে আমাদের কিনতে হয়। কয়েক বছর ধরেই এই রেট। এবারও ডলার দিয়েই কিনতে হবে। গতবার আমরা ৪৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু মাছ না থাকায় ওরা মাত্র ১৩০০ মেট্রিক টন পাঠিয়েছিল। তাও ৫০০ গ্রাম থেকে এক কেজি সাইজের।