শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের মে মাসে ৩০২.৬১ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। এবার মে মাসে টিকিট বিক্রি হয়েছে ৩০৮.১২ কোটি টাকার। শৈলশহর দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। কারণ, প্রখর দাবদাহ থেকে ক্ষণিকের স্বস্তি পেতে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে দলে দলে মানুষ দাজিংলিং, ডুয়ার্সে রওনা হয়েছিলেন। গরমের ছুটিতে যাত্রীদের চাপের কথা মাথায় রেখে কলকাতা, হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে উত্তরবঙ্গগামী বেশ কয়েকটি স্পেশাল ট্রেন চালাতে বাধ্য হয় রেল। তারা জানাচ্ছে, মে মাসে উত্তরবঙ্গগামী দার্জিলিং মেল, পদাতিক, কাঞ্চনজঙ্ঘা, কাঞ্চনকন্যা, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলির সংরক্ষিত কামরা সবসময় পূর্ণ ছিল। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে একদিনের জন্যও কোনও আসন ফাঁকা ছিল না। তাছাড়া ইউটিএস, এটিভিএম মেশিন থেকে যাত্রীরা সহজেই টিকিট কাটতে পেরেছেন। সব মিলিয়ে আয় ৬ কোটি বেড়েছে বলে মনে করছে রেল। সূত্রের খবর, এই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বছরের বিশেষ বিশেষ সময়ে একাধিক শাখায় স্পেশাল ট্রেন চালানোর কথা ভাবছে রেল। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘রেকর্ড আয়বৃদ্ধির এই মাইলস্টোন আগামী দিনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের লক্ষ্যে অতিরিক্ত ট্রেন চালানো ও পরিকাঠামো উন্নয়নে আমাদের সাহায্য করবে।’ নীলাঞ্জন সেনগুপ্ত নামে শান্তিপুরের এক ট্যুর অপারেটর বলেন, ‘সারা বছরই উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলির সংরক্ষিত কামরায় টিকিটের চাহিদা বেশি থাকে। এবার গরমে সেই চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল। পুজোর ছুটিতেও একই পরিস্থিতি হতে চলেছে। রেলের কাছে আমাদের অনুরোধ, ওই সময় কিছু বাড়তি ট্রেন চালানো হোক। এতে রেলের আয় যেমন বাড়বে, তেমনই আমাদের মতো পর্যটন ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখবেন। হতাশ হতে হবে না ভ্রমণপিপাসুদের।’