শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
ব্রিটেনে লেবার পার্টির জয় উদযাপন নিয়ে বিরুদ্ধ মতও উঠে এসেছে সিপিএমের মধ্যে। রাজ্য কমিটির আরেক সদস্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ইতিহাস না জানলে লেবার পার্টি তো লাল সেলাম পাবেই।’ আন্তর্জাতিক রাজনীতির হালহকিকৎ নিয়ে বামপন্থীরা কমবেশি ওয়াকিবহাল থাকেন বলে মনে করেন অনেকে। তাঁরাই যেভাবে লেবার পার্টির জয়ে সাগরপারের দেশে বামপন্থার উত্থান খুঁজে পেলেন, তা দেখে স্বাভাবিক কারণেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বাম-বিরোধী শিবির।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা কাবেরী চক্রবর্তী বলছিলেন, ‘লেবার পার্টি একেবারেই বামপন্থী নয়। বরং অনেক সময় ওদের কনজারভেটিভদের নরম রূপ বলা হচ্ছে। এবার প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট পেয়েছে লেবার পার্টি। সেটাকে দক্ষিণপন্থী বা বামপন্থী, এতখানি বলা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনার অবকাশ রয়েছে। আমি দেখেছি, বামপন্থীদের একাংশের মধ্যে একটা উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। কারণ, ঘোষিত দক্ষিণপন্থী দল পিছু হটেছে। তাছাড়া, লেবার পার্টির ইস্তাহারে স্বাস্থ্য, শ্রমিক, অর্থনীতি নিয়ে কিছু পুরনো কথা রয়েছে। এসব সেই অর্থে কিছুটা ইতিবাচক। তবে লেবাররা বহুদিন ধরেই বামপন্থায় নেই।’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘সমর্থক কেউ কেউ আছেন, যাঁরা এসব লিখছেন। লেবার পার্টি নাম বলে তাকে বামপন্থী-কমিউনিস্ট ভাবার কোনও কারণ নেই। দলের পুরনোরা এসব জানেন। নতুনরা হয়তো চর্চার সুযোগ পাননি। কিন্তু চরম দক্ষিণপন্থী দলের তুলনায় লেবার পার্টি ভালো। তবে কমিউনিস্ট বা সোশ্যালিস্ট বললে সেটা ভুল।’ এর পাশাপাশি, সিপিএমের অনেক তরুণ নেতা আবার লেবার পার্টি থেকে বেরিয়ে গিয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়া জেরেমি করবিনকে ‘প্রকৃত বামপন্থী’ বলে সওয়াল করছেন।