শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
অপরদিকে, বুধবার রাতেই আসানসোল থেকে কড়া নিরাপত্তায় সিআইডির সদর দপ্তর ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হয় সুবোধকে। রাতে তাকে রাখা হয় লকআপে। বেউর জেলে গ্যাংস্টারের মনপসন্দ খানা মিললেও, ভবানীভবনে বাকি অভিযুক্তদের জন্য বরাদ্দ খাবারই খেতে হয়েছে তাকে। বেউর জেলের ‘বিলাস’ নয়, লকআপের মেঝেতে মাদুর বিছিয়ে সারারাত কাটাতে হয়েছে জুয়েল থিফকে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাকে জেরাপর্ব শুরু হয়। তদন্তকারীরা তার কাছে জানতে চান, রাণিগঞ্জে ওই সোনার দোকানের মালিকের বাড়িতে যে বিপুল সোনা রয়েছে, এই খবর তাকে কে দিয়েছিল। প্রথমে চুপ করে থাকলেও, পরে সুবোধ জানায়, আসানসোল শিল্পাঞ্চলে কয়েক শো যুবক তার গ্যাংয়ে কাজ করছে। তারাই তাকে এই খবর দিয়েছিল। তার নির্দেশে সেখানে হানা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ২০১৭-২৪ পর্যন্ত রাজ্যে বিভিন্ন সোনার দোকানে ডাকাতি যে তারই নির্দেশমতো, তাও তদন্তকারীদের কাছে স্বীকার করে নিয়েছে। সুবোধ জেরায় জানিয়েছে কলকাতা ও তার উপকন্ঠ ও বিভিন্ন জেলায় কয়েক শো মাস মাইনে করা শাগরেদ রয়েছে। যারা খবর দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপারেশন চালাচ্ছে। পাশাপাশি বাইরে থেকে তার গ্যাংয়ের সদস্যরা কলকাতায় এসে লজিস্টিকাল সাপোর্টও দিচ্ছে। গোয়েন্দারা সুবোধকে জেরা করে এমনকছু ব্যক্তির নাম পেয়েছেন, যাঁরা গ্যাংস্টারকে রাজ্যে বিভিন্নভাবে সাহায্য করছিল বলে অভিযোগ। বিগত একবছরে সুবোধ এখানকার কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল, তা জানতে পুরনো কল রেকর্ডস বের করে বিশ্লেষণ চলছে। একইসঙ্গে বেউর জেলে বসেই যে ভিওআইপি পদ্ধতিতে ফোনগুলি করত, তা প্রমাণ করতে তার আইপি অ্যাড্রেসগুলি জোগাড় করা হয়েছে। নেট কানেকশনের সূত্র ধরে প্রযুক্তির সাহায্যে বেউরে বসে ফোন কলের বিষয়টি প্রমাণ করতে মরিয়া সিআইডি। এই সংক্রান্ত কাজ শেষ হলে বেউরের জেল সুপারকে জেরার জন্য ডাকা হতে পারে বলে খবর।
লুটের সোনা কোথায় রাখা আছে, এই বিষয়ে সুবোধকে প্রশ্ন করা হলে তদন্তকারীদের হাল্কা চালে সে বলে, মহাদেবের ভক্ত। সোনা গরিবদের বিলিয়ে দিয়েছে। বিয়েতেও দান করেছে। যদিও তার এই বয়ান মানতে নারাজ আধিকারিকরা। তাঁরা জেনেছেন, লুট করা সোনা নেপালে বিক্রি করা হয়েছে। সেখান থেকে বিক্রির টাকা হাওলার মাধ্যমে সুবোধের ‘কোষাগারে’ পৌঁছেছে। সেই টাকায় মেটানো হয়েছে শাগরেদদের বেতন, মামলার খরচ, চিকিৎসার ব্যয় এবং পরিবারকে ক্ষতিপূরণ। সুবোধকে জেরা করে সেই ‘কোষাগারে’র খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।