উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
চোপড়ার লক্ষ্মীপুরের দিঘলগাঁও এলাকায় সালিশি সভার নামে যুবক-যুবতীকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় (সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’)। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তাজিমুল ইসলামকে (জেসিবি) ইতিমধ্যেই পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ইসলামপুরের এসপি জবি থমাস বলেন, পাঁচদিনের হেফাজতে পেয়েছি ধৃতকে। ঘটনায় যুক্তদের চিহ্নিত করে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই পর্বে এদিন বিধানসভায় এসেছিলেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমান। সাংবাদিকদের প্রশ্নে কখনও ক্ষিপ্ত হয়ে, কখনও আবার যে তির্যক মন্তব্য করেছেন, তার নির্যাস হল—ভুল বক্তব্য রাখার জন্য তিনি দুঃখিত। কারও সম্মানহানি হোক, এমন কোনও মন্তব্য তিনি করতে চাননি। তাঁর স্পষ্ট বার্তা—‘জেসিবি কোনওদিনই আমার আশ্রয়ে ছিল না। ও কোন নেতা নয়, কর্মী মাত্র। ওর সঙ্গে ওই ঘটনায় সেদিন যারা যুক্ত ছিল, তারা সবাই গ্রেপ্তার হবে।’
গত রবিবারের ভাইরাল ভিডিও’তে দেখা গিয়েছে, লক্ষ্মীপুরের অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মিরাজুল ইসলাম, পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ জাহাঙ্গীর সহ একাধিক তৃণমূল নেতা যুবক-যুবতীকে মারধরের সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রশ্ন উঠছে তাঁরা কেন জেসিবিকে থামালেন না? মিরাজুল বলেন, ঘটনার সময় অনেকে উপস্থিত ছিলাম অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে আমার যাওয়ার কথা ছিল না। মেয়েটি আমার আত্মীয়। তার এক বোন ফোন করে আমাকে অনুরোধ করেছিল বলে গিয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই মারধর শুরু হয়ে যায়। প্রতিবাদ করলেন না কেন? মিরাজুলের মন্তব্য, সেখানে গিয়ে কিছু বোঝার আগেই মারধর শুরু হয়ে গিয়েছিল। পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ জাহাঙ্গীরের কথায়, গ্রাম্য সালিশি হিসেবে বসেছিলাম। ভাবতে পারিনি সেখানে মারধর হবে। তবে আমরা বাধা দিয়েছিলাম।
বুধবার আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’)। সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০২২ সালে চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মের্ধাবস্তি সংসদের এক তৃণমূল নেত্রীর স্বামীকে মারধর করছে কয়েকজন। সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার আত্মীয় চেয়ারে বসে। তাঁর পা ধরে ক্ষমা চাইছেন ওই ব্যক্তি । শুধু তাই নয়, কানধরে ওঠবস করানো হচ্ছে।