কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
সোমবার সুবোধকে জেল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয় সিআইডি। সংশোধনাগারে ঢোকার সময়ই মেজাজ সপ্তমে ওঠে জুয়েল থিফের। আঙুল উঁচিয়ে হুমকি দেয়—‘আপ লোগো কো কিমত চুকানা পড়েগা। অউর আপ সবকা বাল বাচ্চে কো ভি ভুগতনা হোগা।’ তার নিশানায় ছিল সিআইডির ডিআরবিটি সেলের ইনসপেক্টর খালেকুজ্জামান ও তাঁর টিমের বাকি অফিসাররা। তবে দমে যাননি বাংলার সিআইডি অফিসাররা। বিহারের গ্যাংস্টারকে পাল্টা শাসানিতে থামান তাঁরাও। ঘটনার পরই সিআইডির পক্ষ থেকে আসানসোল দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস বলেন, ‘সিআইডির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’
এখনও সিআইডি হেফাজতে যায়নি গ্যাংস্টার। তার আগে থেকেই যেভাবে হুমকি আর চোখ রাঙানি শুরু করেছে সুবোধ সিং, তাতে জেরা পর্বে তাকে ‘হ্যান্ডেল’ করার কৌশল নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করছে সিআইডি। কারণ, শুধু সংশোধনাগারেই নয়। এদিন আদালত চত্বরেও পরোক্ষে সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিককে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছিল বিহারের অপরাধ জগতের বেতাজ বাদশাকে। নতুন ফৌজদারি আইনের বিরোধিতায় আদালতের সওয়ালে এদিন আইনজীবীরা অংশ না নেওয়ায়, তদন্তকারী অফিসার দিগন্ত বিশ্বাস গ্যাংস্টারের কুকীর্তি বিচারকের সামনে তুলে ধরছিলেন। তখন কাঠগড়ার রেলিংয়ে ঠেস দিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে চোখের ইশারায় বিদ্রুপের হাসি হাসতে দেখা যায় সাত রাজ্যে ডাকাতির মামলার মূল অভিযুক্তকে।
২০২২ সালে রানিগঞ্জে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ডাকাতি ও খুনের চেষ্টার মামলায় ‘মাস্টার মাইন্ড’ হিসাবে সুবোধকে বেউর জেল থেকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করে সিআইডি। রবিবার আসানসোল সিজেএম এজলাসে তোলা হলে সোমবার সুবোধ সিংকে এডিজে-১’এর এজলাসে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো এদিন নিরাপত্তার চক্রব্যুহ বানিয়ে আদালতে তোলা হয় জুয়েল থিফকে। বিচারক শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সুবোধকে ১৪ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতে দেওয়ার আর্জি জানান তদন্তকারী অফিসার। বিচারক জানতে চান, ‘সুবোধ সিংকে প্রোডাকাশনের জন্য ৩ জুলাই কি ডেট ছিল?’ অফিসার জানান, ‘অভিযুক্ত নটোরিয়াস ক্রিমিনাল। তাকে নিয়ে যেতে ৩০ জনের স্পেশালাইজড টিমের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। এদিন হেফাজতে পেলে সুবিধা হয়।’ অন্যদিকে অভিযুক্তর পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেহেতু সওয়াল জবাব হচ্ছে না, তাই ৩ জুলাই মামলার দিন ধার্য করা হোক। এরপর বিচারক সুবোধ সিংয়ের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। কাল, বুধবার সিআইডির আর্জি শোনা হবে।