কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
২০১৮র জানুয়ারিতে বিহার এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সুবোধের ঠিকানা ছিল বেউর জেল। এখানে বসেই সে একের পর অপরাধমূলক কাজকর্ম চালিয়ে গিয়েছে। গ্যাংস্টারের নির্দেশমতো শাগরেদরা লুট করেছে সোনার দোকান বা স্বর্ণঋণদানকারী সংস্থা। তোলা চেয়ে না মেলায় গুলি চালিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, প্রোমোটারকে লক্ষ্য করে। খতমও করেছে বেশ কয়েকজনকে। সিআইডি জেনেছে, বেউর জেলে সুবোধই ছিল শেষ কথা। জেলের সুপার থেকে কারারক্ষীরা তার ভয়ে কাঁপতেন। ডন নিত্য নতুন কী ফরমায়েশ করে, তাই নিয়ে তটস্থ থাকতেন। সুবোধজি বলে সম্ভ্রমের সঙ্গে সবাই কথা বলত জেলের মধ্যে।
বেউর জেলের এহেন ‘নিয়ন্ত্রক’কে হেফাজতে নিতে সিআইডি টিম পৌঁছে গিয়েছে, এই খবর শুনে রীতিমতো চটে যায় ডন। রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, আমলা ও পুলিস কর্তাদের স্টাইলে জানতে চায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা সিআইডি কর্তারা কীভাবে চলে এলেন জেলে! আদালতের নির্দেশে তাকে দুর্গাপুর কোর্টে হাজির হতে হবে। এই সংক্রান্ত নির্দেশের কপি দেখার পরও বেউর জেল সুপারের উপর চোটপাট করে সুবোধ সিং বলে, তাকে নিয়ে যাওয়ার কোনও এক্তিয়ারই নেই সিআইডির। এমনকী ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধির নানা ধারা ও উপধারা ব্যাখ্যা দিতে শুরু করে গ্যাংস্টার। তার দাবি ছিল, এভাবে তাকে নিয়ে যাওয়াটা বেআইনি। সিআইডি যাতে নাগাল না পায়, তার জন্য প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সুবোধ বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যায়। নিজের আইনজীবীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করে। তাঁরাও বিভিন্ন পরামর্শ দেন ডনকে। কিন্তু পরোয়ানা নিয়ে যাওয়া সিআইডি অফিসাররা ছিল নাছোড়বান্দা। তাঁরা ঠিক করে এসেছিলেন, যতই বাধা আসুক এবার সুবোধকে নিয়ে ফিরবেনই। দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষে একপ্রকার জোর করেই তাকে সেল থেকে বাইরে বের করে বেউর জেল কর্তৃপক্ষ। তুলে দেওয়া হয় বেঙ্গল সিআইডির হাতে।