কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
এই ব্লকে কতজনকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের কথায়, যেসব গ্রামে বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কলেরার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল, সেইসব এলাকাকে ‘স্পর্শকাতর’ বলেই চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই এলাকার প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারমধ্যে প্রথম ধাপে ৩০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। তবে এক বছরের কমবয়সি শিশু, গর্ভবতী ও সদ্য মা হয়েছেন এমন কাউকে কলেরার টিকা দেওয়া হবে না।
এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে আগেই। সেটি সফল হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কলেরার টিকাকরণের কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, যেসব জায়গায় কলেরার প্রকোপ বেশি, সেখানে এই টিকা দেওয়া হবে। পরে অবশ্য গোটা রাজ্যে নয়, প্রথম ধাপ হিসেবে বিষ্ণুপুর ২ নম্বর ব্লককে বেছে নেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসকদের দাবি, এই টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রত্যেককে এক মাস অন্তর দু’টি ডোজ দেওয়া হবে। তারপর দু’বছর টিকা প্রাপকদের উপর নজর রাখবেন স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা। এই সময়কালে কারও ডায়েরিয়া হলে তাঁর মলের নমুনায় কলেরার জীবাণু আছে কি না, তা পরীক্ষা করা দেখা হবে।
চলতি মাসে কলেরার টিকা নিয়ে বিষ্ণুপুর ২ নম্বর ব্লকের প্রতিটি গ্রামে সচেতনতামূলক প্রচার করবে প্রশাসন। মানুষ যাতে বিভ্রান্ত না হন, তার জন্য বোঝানো হবে তাঁদের। তারপর শুরু হবে টিকাকরণ কর্মসূচি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মুক্তিসাধন মাইতি বলেন, কলেরার টিকা দেওয়ার কর্মসূচির নেওয়া হয়েছে। কবে তা শুরু হবে এবং কীভাবে দেওয়া হবে, তা শীঘ্রই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রতীকী চিত্র