কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
এই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যই এসএসসির সদস্য পদগুলি পূরণ করতে হবে। বিধানসভায় সংশোধনী বিল পাশ করার পর এসএসসি আইনের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে সদস্য রাখতে বলা হয়েছে চেয়ারম্যান ছাড়া সর্বাধিক ছ’জন। সদস্য নিয়োগ করার জন্য সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দিনকয়েক আগে কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তর এসএসসির চেয়ারম্যান পদে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস আধিকারিক বিবেক সহায়কে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
২০১১ সালে মা-মাটি-মানুষের সরকার আসার পর স্টাফ সিলেকশন কমিশন গঠিত হয়। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসএসি) মাধ্যমে সরকারি দপ্তরে কর্মী নিয়োগে দেরি হচ্ছিল। তাই কর্মী নিয়োগে গতিবৃদ্ধির জন্যই গড়া হয়েছিল এসএসসি। একজন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসারকে এসএসসির চেয়ারম্যান করা হয়।
গ্রুপ বি এবং সি পদে কর্মী নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নিতে শুরু করে এসএসসি। ক্লার্ক নিয়োগের জন্য একবার ক্লার্কশিপ পরীক্ষা নেয় তারা। কিন্তু তারপর রাজ্য সরকার হঠাৎই এসএসসি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়! ক্লার্ক নিয়োগের দায়িত্ব ফের দেওয়া হয় পিএসসিকে।
অন্যদিকে, গড়া হয় একটি পৃথক গ্রুপ ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বেশি সংখ্যায় গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের জন্যই এই ব্যবস্থা। পরে অবশ্য তুলে দেওয়া হয় এই বোর্ডটিও। ফের এসএসসি চালু করার জন্য ২০২২ সালে বিধানসভায় একটি সংশোধনী বিল পাশ করায় রাজ্য সরকার। গতবছর ওই বিলের ভিত্তিতে এসএসসি আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, নিউ টাউনের একটি অফিস থেকে এসএসসি কাজ করবে। প্রথম পর্যায়ে গ্রুপ ডি কর্মী নেবে ৮ হাজারের কিছু বেশি। গ্রুপ সি পদে নেওয়া হবে তিন-চার হাজার জনকে। এজন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা নেবে এসএসসি। সম্প্রতি রাজ্য সরকার বিভিন্ন দপ্তরে সি ও ডি গ্রুপের জন্য কয়েকশো নতুন পদ সৃষ্টি করেছে। সেগুলিও পূরণ করবে এসএসসি। গ্রুপ সি’তে মূলত লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট (এলডিএ) নিয়োগ করা হবে। পরীক্ষা পদ্ধতি কীরকম হবে, তার একটি প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেটি চূড়ান্ত হবে শীঘ্রই। লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সফল প্রার্থীদের বাছাই করা হবে। এলডিএ নিয়োগের ক্ষেত্রে কম্পিউটারে লেখার পরীক্ষা দিতে হবে।
প্রিলিমিনারি ও মেইন—লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে এই দুটি পর্যায়ে এবং দুটি স্তরে। দুটি পরীক্ষাই নেওয়া হবে অবশ্য একইসঙ্গে। অবজেকটিভ টাইপের প্রশ্ন থাকবে প্রিলিমিনারিতে। শুধুমাত্র ওই পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদেরই মেইন পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখা হবে। তারপর নেওয়া হবে ইন্টারভিউ।