কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
দলের সাধারণ সম্পাদক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বিজেপির রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা সামনে এল। ওরা জানে দিনহাটার মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে। তাই ভোটের জন্য বিএসএফের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।’ ফিরহাদ বলেন, ‘সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিএসএফের কাজকর্মের চৌহদ্দি বাড়িয়ে ৫০ কিমি করেছে। তারই সুযোগ নিয়ে বিজেপি নেতা-নেত্রীরা বিএসএফ কর্তাকে দলে টানতে গিয়েছিলেন।’ দিনহাটা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ বিজেপি-বিএসএফ বৈঠক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তির্যক মন্তব্যও করেছেন। উদয়নবাবু লিখেছেন, ‘রাজ্য বিজেপির নেতারা আজ সোনারিতে বিএসএফ মামাদের সাথে দেখা করলেন। দিনহাটায় সাহায্য চাই মামা।’ বিজেপি নেতারা আজ তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের কথায়, ‘ভোটের আগে বিএসএফের সঙ্গে বিজেপির দেখা করার মানে তাদের মনে করিয়ে দেওয়া, গেরুয়া পার্টির দিল্লির কর্তারা কিন্তু চৌহদ্দি বাড়িয়ে দিয়েছে। ভোটের দিন সেটা যেন খেয়াল থাকে!’
যদিও দিলীপবাবুর দাবি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক করার এক্তিয়ার রয়েছে তাঁর। সংসদ সদস্য হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদারও। দিলীপবাবু বলেন, ‘সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবে যেখানে যাই বিএসএফের সঙ্গে দেখা করি, কথাবার্তা হয়। সুবিধা-অসুবিধা জানার সঙ্গেই এলাকার পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়। এখানকার ডিআইজির সঙ্গে দেখা করে জানলাম, চোরাচালানকারীদের ধাওয়া করে ওরা এবার থেকে ৫০ কিমি এলাকা পর্যন্ত ঢুকতে পারবে।’ তবে আদর্শ আচরণ বিধি বলবৎ থাকার কারণে যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহার জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক পর্যন্ত করতে পারেননি, সেখানে দিলীপবাবুর সাক্ষাৎ পর্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে কোনও জবাব মেলেনি দিলীপবাবুর তরফে। প্রশ্ন করা হলেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিএসএফের ডিআইজি। নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে গেরুয়া শিবিরের দুই এমপির সঙ্গে ওই বৈঠকে তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায় কীভাবে থাকলেন, জল্পনা শুরু হয়েছে তা নিয়েও। বিষয়টিকে তৃণমূল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করলেও, অদ্ভুত এক যুক্তি খাড়া করেছেন মালতীদেবী। তাঁর কথায়, ‘যেখানে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি এবং রাজ্য সভাপতি গিয়েছেন, সেখানে জেলা সভাপতি হিসেবে যাওয়াটা দলীয় প্রোটোকলের মধ্যে পড়ে। তাই গিয়েছি!’