কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, প্রত্যেক পরীক্ষার আগে এবং পরেও ছুটি রাখা হচ্ছে স্যানিটাইজেশনের জন্য। সিআইএসসিই এবং সিবিএসই অফলাইন পরীক্ষা নিতে চলেছে। ফলে রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরও কিছুটা আশ্বস্ত। নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এই পরীক্ষাগুলি কীভাবে হচ্ছে, তার উপরেও নজর রাখা হবে বলে জানান এক কর্তা। যদিও, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে অনেক বেশি ছাত্রছাত্রী থাকার কারণে হুবহু সেই দূরত্ব এবং পরিচ্ছন্নতা বিধি যে মানা সম্ভব হবে না, তা মানছেন অনেকে। উচ্চ মাধ্যমিকের ঠিক পরেই কেন্দ্রগুলি স্যানিটাইজ করে নেওয়া হবে। কারণ, তারপরই হতে পারে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। অর্থাৎ এপ্রিলের শেষে।
পরীক্ষার আগে আসে প্রস্তুতির বিষয়টি। ১৬ নভেম্বর থেকে খুলতে চলেছে স্কুল। তবে স্কুল খোলার বিধিতে কী বলা থাকছে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা। খসড়া বিধি নবান্নের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, তাতে বলা রয়েছে, নবম ও একাদশ এবং দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিকে আলাদা সময়ে স্কুলে ডাকতে হবে। এতে প্রবেশ এবং বেরনোর সময় ভিড় এড়ানো সম্ভব হবে। সরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে আপাতত স্থির হয়েছে, নবম এবং একাদশ শ্রেণি ১০টায় স্কুলে ঢুকবে। ক্লাস শুরু হবে সাড়ে ১০টায়। ছুটি হবে সাড়ে ৩টেয়। টিফিন পিরিয়ড হবে সংক্ষিপ্ত (সম্ভবত ১৫ মিনিটের)। আর দশম এবং একাদশ স্কুলে ঢুকবে সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে। তাদের ক্লাসও ১১টা থেকে সাড়ে ১১টায় শুরু হবে। তবে, চূড়ান্ত বিধিতে এই সময়ের হেরফের হতে পারে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাই, তাদের ক্লাসের সময় একটি বেশি হবে। সেক্ষেত্রে সাড়ে চারটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত হতে পারে ক্লাস।
এক কর্তা বলেন, ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত নির্দেশিকার সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ক্লাসে আসার বিষয়টি যুক্ত হয়েছে ঠিকই। তবে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সেই নির্দেশিকাকে অনুসরণ করা হয়েছে। তাতে বেঞ্চ পিছু সর্বাধিক দু’জন, পারলে কোণ বরাবর একজন করে বসানো, মাস্ক পরে থাকা, স্যানিটাইজার ব্যবহার, প্রার্থনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা দলবদ্ধ ক্রীড়া, কোনও কিছুর জন্য জমায়েত না করার নির্দেশগুলি থাকছে। আদর্শ দূরত্ববিধি মেনে চলতে গেলে সিংহভাগ স্কুলেই প্রত্যেক পিরিয়ডের সময় বা পিরিয়ডের সংখ্যা কমতে বাধ্য। কারণ, আলাদা আলাদা ঘরে ক্লাস নেওয়ার জন্য যে সংখ্যক শিক্ষক প্রয়োজন, তা স্কুলগুলিতে নেই। এটা অবশ্য স্কুলগুলিও মেনে নিচ্ছে।