কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
পুজোর আগেই প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল জানুয়ারিতে নেওয়া প্রাথমিক টেট-এর ফল। তার পরে নতুন টেট-এর বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। তবে, সেসব কবে হবে, তার উত্তর নেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে। পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেন, পুজোর ঠিক আগে আগেই বহু পুরনো মামলার রায় বেরিয়েছে। সেই রায় মেনে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়াও, আদালত বলেছে, ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত সমস্ত মামলার নিষ্পত্তি আগে করতে হবে। আমরাও আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ করছি। চাই না, ফল প্রকাশের পরে বা নতুন টেট-এর বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরে তা আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়ে যাক। আদালত একবার ‘স্টে’ (স্থগিতাদেশ) দিয়ে দিলে, তা তোলা যে কত কঠিন, তা বুঝেছি। তবে, আমরা যা কাজ করছি, তার সবই নিয়োগ সংক্রান্ত। তাই চাকরিপ্রার্থীদের ভাবনার কারণ নেই। ২৭ অক্টোবর, বুধবার কসবা শিক্ষাভবনে ৬০ থেকে ৬৮ জন প্রার্থীর ভাইভা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আদালতের নির্দেশে অফলাইনে ইন্টারভিউয়ের আবেদন করা প্রার্থীরা যেমন রয়েছেন, তেমনই আদালতের অবমাননার মামলা করা কিছু প্রার্থীও রয়েছেন। তবে, এ ধরনের অনেক প্রার্থীর ভাইভা আগেই হয়ে গিয়েছে। এঁদের জন্য শূন্যপদ আলাদা করে রাখা ছিল।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে বিগত কয়েকমাস একেবারেই ভালো যায়নি পর্ষদের। পর্ষদ সভাপতিকে এমনকী নিজের পকেট থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এছাড়াও, একাধিক মামলায় ব্যাকফুটে যেতে হয়েছে পর্ষদকে। অন্যদিকে পর্ষদের যুক্তি, যত দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হবে বলে তারা ভেবেছিল, তা না-হওয়ার কারণেই টেট-এর ফল প্রকাশ এবং নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে মনোনিবেশ করতে পারেনি তারা।
একই অবস্থা স্কুল সার্ভিস কমিশনেও। আদালতের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল আগেই বাতিল করা হয়েছে। করোনা, সাধারণ নির্বাচন প্রভৃতি কারণে আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে নিয়োগ সম্পূর্ণ করা যায়নি। পরে ফের একটি স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। তারপরে জানানো হয়, ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের অভিযোগ শুনে এবং তা নিষ্পত্তি করার পরেই নিয়োগ শুরু করা যাবে। সেটাও আদালত সন্তোষ প্রকাশ করার পরে। তবে, এখনও কম করে প্রায় পাঁচ হাজার প্রার্থীর অভিযোগের শুনানি শেষ করতে পারেনি এসএসসি। এক কর্তার আশঙ্কা, এবছরে নিয়োগ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম। উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীদের তৈরি একটি মঞ্চের নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, এসব আইনি ঝামেলায় নিজের যোগ্যতায় তালিকায় স্থান পাওয়া মেধাবী প্রার্থীদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে।