কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
মহানদীর ওই চায়ের দোকানের সামনে একটা প্লাস্টিকের চেয়ার টেনে বসে পড়েন মমতা। কয়েক কাপ চায়ের অর্ডারও দেন। তাঁর দোকানের চা খাচ্ছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! ওই দৃশ্যের কথা ভাবতেও পারেননি চা দোকানের মালকিন সবিতা তামাং। বললেন, মনে হল যেন স্বপ্ন দেখছি। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আমাদের কিছু সমস্যার কথা জানালাম। সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা কীভাবে মিলবে, তাও শুনলাম। চায়ের দোকানে বসেই মন্ত্রিসভার সহকর্মী ইন্দ্রনীলকে গান গাইতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। নেত্রীর নির্দেশ পেয়ে গান ধরেন মন্ত্রী তথা জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেন—‘‘পথে, ধুলায় ধুলায় চলো হাত মেলাই, হাত মেলাই, চলো যাই যেখানে মন চাই....’। গলা মেলান মুখ্যমন্ত্রীও। হাততালি দিয়ে তাল মেলাতে থাকেন আরেক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেই দৃশ্য তাড়িয়ে উপভোগ করতে থাকেন স্থানীয় পাহাড়ি বাসিন্দারা সহ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসাররাও। শুধু চা খাওয়া নয়, সেখানে একটি ছোট্ট জুতোর দোকান থেকে মুখ্যমন্ত্রী কেনাকাটাও করেন। ওই দোকানের মালিক হিরা প্রধান বলেন, এখনও ভাবতে পারছি না, এই পাহাড়ি গ্রামে এসে আমাদের দোকান থেকে জুতো কিনলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এতদিনে বুঝলাম কেন তিনি এত পপুলার। তবে এসবের মধ্যেও তাঁর চোখ ছিল পাহাড়ি রাস্তার উপরে। দিন কয়েক আগে প্রবল ঝঞ্ঝায় ধস নেমে বিধ্বস্ত হয়েছিল কার্শিয়াং থেকে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক এর বেশকিছু জায়গা। বন্ধ ছিল যান চলাচল। আপাতত সেসব রাস্তা সরিয়ে তুলেছে পূর্তদপ্তর। তবুও মুখ্যমন্ত্রী নিজের চোখে দেখে নেন সবকিছু।
এদিন নবান্ন থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জিটিএ’র সচিব এবং প্রশাসককে বদলি করে দেওয়া হল। এই বদলির ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্শিয়াংয়ের প্রশাসনিক বৈঠকে দিয়েছিলেন। এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল নবান্ন। বর্তমান সচিব প্রভুদত্ত ডেভিড প্রধানের জায়গায় আসলেন তাপসকুমার বাগচী। পাশাপাশি, জিটিএ’র প্রশাসক হলেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবালম ।