কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
গত ৭ জুলাই বাজেট পেশ করে বিধানসভায় ওই ছাড়ের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজেট প্রস্তাব পেশ করে তিনি জানান, করোনা পর্বে রিয়েল এস্টেট সেক্টর বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ করে ছাড় দেওয়া হবে। অর্থাৎ শহরাঞ্চলে যেখানে ৬ শতাংশ এবং গ্রামীণ এলাকায় ৫ শতাংশ স্ট্যাম্প ডিউটি ছিল, তা দু’শতাংশ করে কমে যায়। আর সব ধরনের দলিল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে বাজার দরের তুলনায় ১০ শতাংশ হ্রাস করা হয়। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এর মেয়াদ ছিল। কিন্তু প্রথম দিকে সার্ভারের গোলমাল থাকায় ২৩ জুলাই পর্যন্ত তা শুরু হয়নি। এর পর থেকে এই নিয়ম চালু হয়ে যায়। জমি-ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া মেলে। অনেক পুরনো ‘কেনা-বেচা’ও এই সময় রেজিস্ট্রি হয়ে যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তে খুশি হন রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। তাদের সংগঠন ক্রেডাইয়ের পক্ষ থেকে গত ৯ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে এই ছাড়ের সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করেন। তাদের বক্তব্য, সার্ভার বন্ধ থাকায় প্রথম ১৫ দিন সেভাবে কাজ হয়নি। আর অক্টোবর মাসে ১৬ দিন সরকারি ছুটি থাকায় কাজের ক্ষেত্রে খুবই অসুবিধা হয়। তারা আরও ছ’মাস বাড়ানোর আবেদন জানায়। কার্শিয়াংয়ের প্রশাসনিক বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও এই দাবি জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে তিন মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানিয়ে ক্রেডাইয়ের সভাপতি সুশীল মোহতা বলেন, করোনার কারণে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে খুবই প্রভাব পড়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তে খুবই উপকৃত হয়েছে সকলে। মেয়াদ বৃদ্ধি করায় আরও ভালো হবে। এতে সরকারের আয় বাড়বে, তেমনি ক্রেতা-বিক্রেতারা উপকৃত হবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো রাজ্যের অথর্দপ্তর নতুন করে নির্দেশিকা বের করার জন্য পরিকল্পনা করছেন। ৩০ অক্টোবরের আগেই সেই নির্দেশিকা বের হবে। এর ফলে আরও বেশ কিছু দিন ফ্ল্যাট-বাড়ি-জমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে উপকৃত হবে বহু মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সুযোগ এনে দিলেন রাজ্যবাসীর কাছে। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র এই নীতি গ্রহণ করে রাজস্ব আদায় বাড়িয়েছে। বাংলাও আর্থিক দিক দিয়ে উপকৃত হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় আয় বেড়েছে দ্বিগুণ। মেয়াদ বাড়ায় আরও রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থ দপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা।