কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
কৃষক ও শ্রমিক ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একাধিকবার অসন্তোষ ব্যক্ত করেছে সঙ্ঘ নেতৃত্ব। কিন্তু সেই সতর্কবাণী কানে তোলেনি কেন্দ্র। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে থাকা অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডকেও শেষ পর্যন্ত সাতটি কর্পোরেশনে ভেঙে দিয়েছে বিজেপি সরকার। এর বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নেমেছে বাম ও ডানপন্থী কর্মচারী সংগঠনগুলি। এমনকী, তারা একযোগে ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় তা নিষিদ্ধ করতে রাতারাতি আইন তৈরি করে কেন্দ্র। সেই আইন নিয়ে আবার মাদ্রাজ ও দিল্লি হাইকোর্টে মামলা রুজু হয়েছে।
কিন্তু নয়া ব্যবস্থায় কেন এই হুঁশিয়ারি সংগঠনগুলির? পাশাপাশি ধর্মঘট নিষিদ্ধ করে আইন লাগু হওয়ার পরও এই হুমকি দেওয়ার সাহস তারা পাচ্ছে কীভাবে? এই সব প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। বাম ও সঙ্ঘ সমর্থিত সংগঠনের দুই প্রধান নেতা সি শ্রীকুমার ও মুকেশ সিং সহ অন্যান্যরা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিভাগের সচিবকে যে চিঠি লিখেছেন, তাতেই সেই আঁচ মিলেছে। ওই চিঠিতে তাঁরা বলেছেন, কর্মচারীদের চাকরি সংক্রান্ত পূর্ব শর্তাবলীর অনেক কিছুই নয়া ব্যবস্থায় কার্যকর করা হচ্ছে না। কর্পোরেশনগুলি ইচ্ছামতো বিভিন্ন বিভাগে কাজের সময় নির্ধারণ করছে। প্রভিডেন্ড ফান্ড থেকে টাকা তোলার ব্যাপারেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা। সংস্থার হাসপাতালগুলিতে কর্মীদের ওভারটাইম বন্ধ করা হচ্ছে। এমনকী, মৃত কর্মীদের পরিবারের কারও চাকরি পাওয়ার সুযোগ আটকে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই তারা মন্ত্রককে তিনবার চিঠি দিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রক নির্বিকার। তাই আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।