সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত, ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ আর বর্ষার আগমনে উত্তাল ছিল সমুদ্র। মোদি-শাহের ‘সুশাসনে’ জ্বালানি ডিজেলের দাম অগ্নিমূল্য। সমুদ্র থেকে এবার মুখ ফিরিয়েছেন বেশ কয়েকজন ট্রলার মালিক। সবমিলিয়ে টানা ৬১ দিনের ‘মন্দা’ কাটিয়ে গত মঙ্গলবার মরশুমের প্রথমদিনে সাগরে ট্রলার ভাসিয়েছিলেন দুই জনপদের কয়েক হাজার মৎস্যজীবী। জাল ফেলে রুপোলি ফসল, বাঙালির কাঙ্খিত ইলিশের অপেক্ষা। বিধি বাম! ফের দু্যোগের পূর্বাভাষ হাওয়া অফিসের। জাল গুটিয়ে তড়িঘড়ি ডাঙায় ফেরার পালা। বুধবারই ফিরে আসতে হয়েছে বন্দরে। এখন ক’দিন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ায় যে মানা। বুধবার শঙ্করপুর মৎস্য বন্দরে যে ট্রলারগুলো ভিড়েছিল, তাতে মৎস্যজীবীদের মনের মতো না হলেও, মিলেছে কয়েকশো কেজির ইলিশও। আর কাকদ্বীপ হয়ে সাগর পাড়ি দেওয়া ট্রলারের মৎস্যজীবীরা ফিরেছেন হতাশ হয়ে। পমফ্রেট সহ আরও কিছু মাছ মিললেও, ইলিশই ওঠেনি তাতে। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতির আক্ষেপ, শুরুটা এত খারাপ হবে ভাবিনি। লোকসানের বোঝা আরও বাড়ল ট্রলার মালিকদের। অন্যদিকে মরশুমের শুরুটা নিয়ে বেশ শিহরিত দীঘার ট্রলার মালিক শক্তিপদ সাউ। বললেন, আমার ট্রলারে ইলিশ ও অন্যান্য মিলিয়ে দু’টনের মতো মাছ উঠেছে। এবার মরশুমের শুরুতেই মৎস্যজীবীদের জালে ইলিশ উঠেছে। এটা ভালো লক্ষণ।
শঙ্করপুর মৎস্যবন্দরে ইলিশের ট্রলার ভেড়ার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার করোনা বিধি মেনে চালু হয়েছে দীঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্র। খুশির পরিবেশ সেখানেও। নিলামের জন্য এদিন এসেছিল ৩০০ কেজি ইলিশ। তবে দামটা ছিল বেশ চড়া। তবে আবহাওয়ার ‘লাল চোখ’ ঠিক হলে, আরও ইলিশ মিলবে বলে আশাবাদী মৎস্যজীবীরা। জোগান বাড়লে ইলিশের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন দীঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কর্মকর্তা নবকুমার পয়র্যা। তাঁর কথায়, সব ক্ষতি সামাল দিয়েও মাছ ধরতে নেমেছেন মৎস্যজীবীরা। আমরা আশাবাদী, আগামী দিনে মৎস্যজীবীদের জালে প্রচুর ইলিশ উঠবে এবং দামও আয়ত্তের মধ্যেই থাকবে।
কী দামে এদিন বিক্রি হল বহু অপেক্ষার রুপোলি ফসল? মোহনার মৎস্য বাজারে এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১৩০০-১৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ৮০০, ৯০০ কিংবা এক কেজির কাছাকাছি ওজনের ইলিশ ১০০০-১০৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আবার ৫০০, ৬০০ কিংবা ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র