কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
বিবৃতিতে অন্তত ছ’টি বিষয়ের উপর তাঁর পর্যবেক্ষণ বর্ণনা করেছেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ধনকার বলেছেন, গণতন্ত্রের পরিপন্থী হল হিংসা। ২০২০ সালে আমাদের সবাইকে রাজ্যকে শান্তিপূর্ণ করে তোলার জন্য শপথ নিতে হবে। কারণ, বিগত কয়েকটি বছরে এবিষয়ে আমাদের উদ্বেগে থাকতে হয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর সকলের মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানিয়ে রাজ্যপাল মানুষের ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করার বিষয়েও জোর দিয়েছেন। তাঁর কথায়, রাজ্যে নাগরিকদের নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা থাকার মতো পরিবেশ থাকা দরকার। আশা করব, এব্যাপার সবাই তাদের করণীয় করবে। উল্লেখ্য, শনিবারই ছিল জাতীয় ভোটার দিবস।
কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত নিয়ে হালে জোর বিতর্ক চলছে বাংলায়। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে বঞ্চনার অভিযোগ এনেছেন মমতা। পাল্টা হিসেবে কেন্দ্রও বেশ কিছু জাতীয় প্রকল্প এরাজ্যে চালু করতে না দেওয়ার ব্যাপারে বারবার কটাক্ষ করেছে নবান্নকে। রাজ্যপাল এদিন বলেছেন, কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে যাবতীয় মতপার্থক্যের সমাধান দেশের সংবিধানেই রয়েছে। উভয়ের মধ্যে সংঘাত বজায় রাখা কখনও সেই সমাধানের পথ হতে পারে না। এজন্য উভয়ের মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি। একইসঙ্গে সমস্ত সাংবিধানিক পদাধিকারীর উচিত তাদের সীমার মধ্যে কাজ করা। তার অন্যথার অর্থ গণতন্ত্রকেই প্রতি পদে হেয় করা। তিনি বলেছেন, আমাদের সংবিধান, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি কখনওই অসহিষ্ণুতার পাঠ দেয় না। তাই পারস্পরিক মতামতকে সম্মান জানানোর পাঠ নেওয়া উচিত সকলের।
ধনকার তাঁর বিবৃতিতে সরকারি কোষাগারের টাকা ব্যয় নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই টাকা সরকারি কাজের জন্যই নির্দিষ্ট। তা কখনওই রাজনৈতিক ফায়দা তোলার কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিন্তু এনিয়ে কিছু অনভিপ্রেত উদাহরণ আমাদের সামনে এসেছে। এ বিষয়ে আমাদের নজর দেওয়া উচিত। এ প্রসঙ্গে তিনি সরকারি কর্মচারীদের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, রাজ্যের উন্নয়ন এবং প্রশাসন চালানোর ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু তাঁদের কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে কোনও সংশ্রব রাখা উচিত নয়। কারণ, এটা কখনওই কাম্য নয়। তাঁদের প্রকৃত অর্থেই পক্ষপাতদুষ্টহীন হয়ে কাজ করা উচিত। এক্ষেত্রে এখনও অনেক কিছু করণীয় রয়েছে রাজ্যে।
কেন্দ্রের চালু করা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প বাংলায় বলবৎ করা না করায় পরোক্ষে নিজের ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন এদিন রাজ্যপাল। তিনি বলেছেন, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া এই জাতীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে এ রাজ্যের কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এই খাতে এ পর্যন্ত এই বঞ্চনার অঙ্ক প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। কৃষকদের স্বার্থে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে এবিষয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানাচ্ছি। শিক্ষাঙ্গণে হিংসার কোনও স্থান নেই বলে উল্লেখ করে ধনকার রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।