বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
একটি জনস্বার্থ মামলার নির্দেশ ডাকযোগে বিবাদি পক্ষকে পাঠানোর জন্য মামলাকারীকে বলেছিল হাইকোর্ট। বিবাদি পক্ষে রয়েছে কালীঘাট ও তারাপীঠের মন্দির। স্পিডপোস্টে পাঠানো সেই খামে যে ঠিকানা লেখা ছিল, তা ‘অপর্যাপ্ত’ বলে উল্লেখ করে ডাক বিভাগ ফেরত পাঠায় প্রাপককে। ১০ জানুয়ারির শুনানিতে মামলাকারী এই তথ্য পেশ করলে বেঞ্চ বিস্ময় প্রকাশ করে। মামলাকারীর তরফে জানানো হয়, ওই দুই মন্দিরের ঠিকানা ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে বেঞ্চ তার রায়ে বলেছে, স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি এবং সাধারণ বোধ অনুসরণ করেও বোঝা যাচ্ছে না যে, ডাকবিভাগের যে বা যাঁরা ওই ডাক নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠানোর দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা ওই ঠিকানা কীভাবে খুঁজে পেলেন না! যদি এমন মানুষও থাকেন, যাঁরা ওই মন্দিরগুলির মতো প্রখ্যাত ঠিকানা খুঁজে পেতে অক্ষম, তাহলে তাঁদের কাজে বহাল রাখা উচিত কি না, তা ভেবে দেখার এটাই প্রকৃষ্ট সময়। অথবা এঁদের শুকনো কাঠের মতো ছেঁটে ফেলা উচিত কি না, তাও ভাবতে হবে। এই কারণেই একথা বলতে হচ্ছে, কারণ, যদি শুকনো কাঠ কোনও দপ্তরে পচে যায়, তাহলে সেখান থেকে আরও ছত্রাক সহজেই গজিয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে পুরো প্রতিষ্ঠানই রোগাক্রান্ত হবে। ডাক বিভাগ এমনই এক প্রতিষ্ঠান, যা মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখে।
এই অভিমত দিয়ে বেঞ্চ বলেছে, পাঠানো চিঠির ‘ট্র্যাক রেকর্ড’ সংগ্রহ করে তা পশ্চিমবঙ্গের পোস্টমাস্টার জেনারেলের কাছে পেশ করবেন মামলাকারী। তার ভিত্তিতে অবিলম্বে তদন্ত শুরু করতে হবে। কোথায় গোলমাল হল, খুঁজে বের করতে হবে। তার নির্যাস ডাক বিভাগকে পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে পেশ করতে হবে।