পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
সম্প্রতি অসম পুলিসের হাতে ধরা পড়েছে ওই সংগঠনের আটজন জঙ্গি। কেরল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া নূর তাদের অন্যতম পান্ডা। তাকে জেরা করেই কোকরাঝাড়ে ব্রহ্মপুত্রের চরে জঙ্গিদের গোপন ডেরার হদিশ মেলে। সেখানে হানা দেয় অসম এসটিএফ। পাকড়াও করা হয় এবিটির আরও দুই জঙ্গি আব্দুল জাহের শেখ ও সাব্বির মৃধাকে। তাদেরকে জেরা করে বেসমেন্টে অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত করা হয় একে সিরিজের নকল করা ৪টি হ্যান্ড-মেড রাইফেল, ৬৪টি কার্তুজ, ২৪টি ব্ল্যাক কার্ট্রিজ, একটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ডিটোনেটর সার্কিট। বিস্ফোরক ও আইইডি তৈরির প্রচুর পরিমাণ কাঁচামালও উদ্ধার হয়েছে। আইইডি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কৃষিজ সামগ্রী, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সহ লোহার কেস-কভার ও লোহার প্লেটও মিলেছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এসেছে এই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। এবিটি প্রধান জসিমুদ্দিন রহমানির নির্দেশে তা অসমে লুকিয়ে রাখে জঙ্গি মহম্মদ সাদ ওরফে সাহেব। ভারতে জঙ্গি মডিউল সক্রিয় করার নেপথ্যেও রয়েছে রহমানির হাত। জেরায় ধৃত দুই জঙ্গি আরও জানিয়েছে, মাস দু’য়েক আগে অসমে এসেছিল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। সেখানেই আইডি তৈরির কথা ছিল। সেজন্য অসমের বাজার থেকেই কেনা হয়েছিল লোহার পাত, কেস-কভার, কৃষিজ উপকরণ, ইলেকট্রিক সুইচ ও তামার তার। কিন্তু সেই বিস্ফোরক কোথায়, কীভাবে ব্যবহারের ছক কষছিল এবিটি? তদন্তকারীদের এই প্রশ্নের জবাবে ধৃতরা জানায়, গন্তব্য ছিল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া। বর্তমানে গ্রেপ্তার হওয়া দুই জঙ্গি মনিরুল ও আব্বাসের হাতে ওই অস্ত্র ও বিস্ফোরক তুলে দেওয়ার কথা ছিল। অসম থেকে বাংলায় অস্ত্র নিয়ে আসার দায়িত্ব বর্তে ছিল কেরল থেকে ধৃত সাদের উপর। তাকে জেরা করেও এবিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে পুলিস। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলার পরিকল্পনা কতদিনের? বিকল্প কোনও প্ল্যান আছে কি? এরাজ্যে কি সক্রিয় হয়েছে কোনও মডিউল? জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।