পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
সপ্তাহখানেক আগে বারাসত থেকে এই চক্রের অন্যতম দুই পান্ডা সমরেশ ও তার ছেলে রিপনকে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিস। তাদের জেরা করে গোয়েন্দারা মোক্তারের নাম জানতে পারেন। সূত্রের খবর, সমরেশের মতোই একইভাবে ভুয়ো নথি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরির একটি নেটওয়ার্ক চালাত মোক্তার। দত্তপুকুরে তার একটি সাইবার কাফে রয়েছে। সেখানে অনেকেই ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড তৈরির জন্য আসতেন। সেই কার্ডের নম্বরকে কাজে লাগিয়ে চলত পাসপোর্ট তৈরির কাজ। ধৃতের সঙ্গে পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্রের যোগসূত্র মিলেছে। এই অবৈধ কার্যকলাপে যুক্ত হওয়ার জেরেই কলকাতা পুলিসের হরিদেবপুর থানা এলাকার বাসিন্দা তথা ফেরার অভিযুক্ত মনোজ গুপ্তার সঙ্গে পরিচয় হয় মোক্তারের। মনোজের বাড়িতেই তৈরি হতো জাল ভোটার, আধার ও প্যান কার্ড। সেই সূত্রে সমরেশের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল দত্তপুকুরের মোক্তারের। অন্যদিকে, জামাকাপড় আমদানি ও রপ্তানির কাজ করায় বাংলাদেশে যাতায়াত ছিল তার। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে আসা নাগরিকদের শেল্টারও দিত মোক্তার। সূত্রের খবর, এভাবে প্রায় পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে পারাপার করিয়েছে সে। তাদের প্রত্যেককে ভুয়ো নথি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধৃতের বিরুদ্ধে। আদতে মোক্তার কতগুলি পাসপোর্ট অবৈধভাবে তৈরি করছিল, সেটা খতিয়ে দেখছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, ২০২১ সালে মোক্তারকে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখনই কয়েকজন এজেন্ট পুষত সে। জেল থেকে জামিনে বের হয়ে সে ফের ভুয়ো নথি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরির চক্র গড়ে তোলে। বাংলাদেশে যাতায়াতের সুবাদে ওপারেও অবৈধ পারাপারের উদ্দেশে বেশ কিছু এজেন্ট তৈরি করেছিল মোক্তার। প্রাথমিক জেরায় ধৃত জানিয়েছে, প্রায় ৬০-৭০ জন এজেন্ট কাজ করত তার এই চক্রে। অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশ থেকে এপারে আনা থেকে শুরু করে তাদের সমস্ত নথি তৈরি, সবটাই চলত অভিযুক্তের ডেরায়।