পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
সিপিএম ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর বরানগর-২ এরিয়া কমিটির সম্মেলন আয়োজিত হয় রবীন্দ্র ভবনে। এরিয়া কমিটির বিদায়ী সম্পাদক সিদ্ধার্থ গঙ্গোপাধ্যায় ২১ জনের প্যানেল জমা দিতেই বিরোধিতা করে পাল্টা প্যানেল জমা পড়ে। ভোটাভুটিতে সিদ্ধার্থবাবুর প্যানেল হেরে যায়। বিরোধী গোষ্ঠীর প্যানেল সম্মেলনে পেশ করার পরই প্রতিনিধিদের মধ্যে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। রাত ১১টা পর্যন্ত হট্টগোল চলে। ১০ তারিখ ফের এরিয়া কমিটি অফিসে ভোটাভুটি হয়। ওই নির্বাচন নিয়েই দলের নেতাকর্মীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। কারণ, ভোটাভুটিতে মাত্র ৬ ভোটের জন্য কমিটিতে স্থান পাননি ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার স্বাতী দাস। দলের মহিলা সংগঠনের এই নেত্রী ২০১০ সাল থেকে পুরসভা ভোটে জিতে আসছেন। স্বাতীদেবী ছাড়াও পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শিশির ভট্টাচার্যের নামও ‘সরকারি’ প্যানেলে ছিল না। শিশিরবাবু অবশ্য ভোটাভুটিতে জয় পেয়েছেন। কিন্তু জয়ী প্যানেলের ২১ জনের মধ্যে বারবার পুরসভা ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে যাওয়া অনেকেই রয়েছেন। এলাকায় তাঁদের কোনও জনসংযোগই নেই বলে অভিযোগ কর্মীদের একাংশের। দলীয় ওই কর্মীদের দাবি, ৮ তারিখ সম্মেলনে ৩৫২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও ১০ তারিখে ভোট দিয়েছেন ৩১২ জন। ভোট কখন শেষ হবে, তা নিয়ে আগে থেকে জানানো হয়নি। অথচ সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় আচমকা ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে কয়েকজন ভোটই দিতে পারেননি। এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে দলের রাজ্য ও জেলা কমিটির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারি বরানগর-১ এরিয়া কমিটির সম্মেলন নিয়েও তীব্র বিবাদের আশঙ্কা করছেন কর্মীরা। এ বিষয়ে সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বলেন, ‘কোনও অভিযোগ এলে পার্টির গঠনতন্ত্র মেনে তা নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’