পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
তবে এদিন যাঁরা গড়চুমুকে এসেছিলেন, তাঁরা চেটেপুটে বড়দিনের আনন্দ উপভোগ করেছেন। দুই নদীর এই মিলনস্থল পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্র। জলধারার পাশেই সতরঞ্চি পড়ে পিকনিক পার্টির। সারাদিন ধরে চলে খাওয়াদাওয়া, হই-হুল্লোড়, গান-বাজনা। প্রশাসন নদী তীরবর্তী এই পর্যটন কেন্দ্রে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে কিছু নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল। যেমন ডিজে বাজানো চলবে না, হুগলি নদী বা দামোদরে নৌকাবিহার করা যাবে না ইত্যাদি। তবে এসবের তোয়াক্কা না করে বহু মানুষ নৌকায় চড়েন। অনেককে আবার এপাড়-ওপাড় করতেও দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ নৌকায় উঠে নাচানাচিও করেন। এ প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক মানসকুমার মণ্ডল জানান, বিক্ষিপ্ত হলেও কয়েক জায়গায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বুধবার সকাল থেকেই গড়চুমুকে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। ছোট-বড় নানা ধরনের গাড়ি সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে ৫৮ গেটের কাছে। ডিজে বক্স না থাকায় কান ফাটানো আওয়াজ থেকে রেহাই পেয়েছে পর্যটকের দল। মিনি চিড়িয়াখানা দেখতেও ভিড় জমিয়েছিলেন ‘অতিথি’রা। তবে এখানে সেভাবে
পশুপাখি না থাকায় কিছুটা হলেও হতাশ তাঁরা। তাঁদের মতে, পাখি, কুমির, পাইথন, হরিণ, ইমু সহ অন্যান্য পশুপাখি থাকলেও ছোটরা মূলত বাঘ, হাতি গন্ডার ইত্যাদি দেখতে আগ্রহী। গড়চুমুকের চিড়িয়াখানায় এসব না থাকায় সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে আট থেকে আশি। এ বিষয়ে গড়চুমুক জুলজিক্যাল পার্কের রেঞ্জার তাপস দেব বলেন, এখানে বাঘ, হায়না, জিরাফ ইত্যাদি পশু আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ব্যাপারে ন্যাশনাল জু অথরিটির কাছে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি মিললে এইসব পশুদের জন্য এনক্লোজার তৈরি করা হবে। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় এদিন অন্যান্য বছরের তুলনায় ভিড় অপেক্ষাকৃত কম হয়েছে গড়চুমুকে। যে কারণে কিছুটা হলেও হতাশ ছোট ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। তাই অনেকে হয়তো আসব ভেবেও আসেননি। তাই বেচাকেনাও সেভাবে হয়নি। বছরের এই বিশেষ দিনের দিকে আমরা সবাই তাকিয়ে থাকি। এবার বড়দিনে বেচাকেনা কম হওয়ায় আমাদের বিকল্প ভাবনা ভাবতে হবে। নিজস্ব চিত্র