পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার বলেন, গণপরিবহণের এই স্বাচ্ছন্দ্য থেকে জনতা বঞ্চিত হবে। কেননা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই অংশের বিরাট সংখ্যক মানুষ মেট্রো পরিষেবা নিতে ট্রেনে করে কবি সুভাষ পর্যন্ত যান। বারুইপুর থেকে মেট্রো চালু হয়ে গেলে লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন। তিনি আরও বলেন, আমি রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করব, যাতে এই প্রকল্প ফের শুরু করা যায়। ‘বর্তমান’-এ এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই স্থানীয় এমপি সায়নী ঘোষের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সেরেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের প্রসঙ্গে বিধানসভার স্পিকার বলেন, যাদবপুরের এমপি’কে অনুরোধ করেছি বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করতে, যাতে এই প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষ বঞ্চিত না হয়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বিষয়টি খোদ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে এসেছে। তারপরই স্থানীয় স্তরে জনতাকে সঙ্গে নিয়ে মেট্রো চালুর দাবিতে আন্দোলনে নামতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। দলের সর্ব স্তরের জনপ্রতিনিধি থেকে সাংগঠনিক নেতৃত্বকে রাস্তায় নামার বার্তা দেওয়া হবে তার মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, বিজেপি এমপি শমীক ভট্টাচার্যের এক প্রশ্নের জবাবে এই ‘বঙ্গ বঞ্চনা’র এই তথ্য উঠে আসে। সেখানে রেল জানিয়েছেন, ওই রুটে সমীক্ষার কাজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত যাত্রী হবে না, এমন যুক্তিতে মেট্রো প্রকল্পকে ঠান্ডাঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এটা ভুল তথ্য। তবে ভারতের মতো কল্যাণকর রাষ্ট্রে স্রেফ বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই সবকিছু দেখা উচিত নয়। আম জনতার সুবিধার কথা বিবেচনা করে কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকার নানা প্রকল্প রূপায়ণ করে। ঠিক সেভাবেই নিউ গড়িয়া-বারুইপুর মেট্রো চালু করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও স্পিকার কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, শমীকবাবুর কথায়, আমরাও চাই এই প্রকল্প হোক। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলব আমি।