অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের মূল গেট, পুরনো ইমার্জেন্সি এবং নতুন ইমার্জেন্সি অর্থাৎ ট্রমা সেন্টার এদিন ছিল পুলিস ও আধা সেনায় ছয়লাপ। কখন কারা ঢুকছে, কারা বেরচ্ছে—স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে সিআইএসএফের কড়া নজর ছিল সেদিকে। কাজে যোগ দিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা বলছেন, ‘এটাই তো আমাদের জায়গা। কিন্তু আমাদের কিছু করার ছিল না। এই কর্মবিরতি না করলে কোনও ন্যায়বিচারই মিলত না।’ পিজি, এন আর এস, ন্যাশনাল সহ অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় যাতে কণামাত্র খামতি না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি ছিল প্রশাসনের। এসব দেখে ডাক্তারবাবুরা নিজেরাই বলাবলি করেছেন, ‘রোজ এমন সতর্ক দৃষ্টি থাকবে তো!’
বিকেলে ভিজিটিং আওয়ারে হাসপাতালগুলিতে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের কড়াকড়ি ছিল চোখে পড়ার মতো। ভিজিটিং কার্ডে একজন বাড়ির লোকের যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। কোনওভাবেই সেই নিয়মের অন্যথা হতে দেননি তাঁরা। আর জি করে এনিয়ে একবার কিছু হইচই হলেও পরে এই কড়াকড়ি মেনে নেন সংশ্লিষ্ট রোগীর বাড়ির লোকজন। নিউ বারাকপুর থেকে এসেছিলেন অশোক দে। তাঁর স্ত্রী অনিতা দে পেটের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ইমার্জেন্সি বাড়িতে ভর্তি আছেন। অশোকবাবু বলেন, ‘নিরাপত্তারক্ষীরা যা করছেন, ঠিক করছেন। এত বড় একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের নিয়ম মানা উচিত।’ হিসেব বলছে, জুনিয়র ডাক্তাররা এদিন ইমার্জেন্সিতে কাজে যোগ দেওয়ায় রোগী দেখার সংখ্যা এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ গত শনিবার আর জি করের ইমার্জেন্সিতে মাত্র ৬৩ জন রোগী দেখেছিলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। আর এদিন সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ। ১২১ জন চিকিৎসা পেয়েছেন ইমার্জেন্সিতে। তাও আবার বিকেল ৩টের মধ্যেই!