অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমান কমানোয় উদয়নারায়নপুরের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশঃ উন্নতি হচ্ছে। একাধিক উঁচু জায়গা থেকে জল নামতে শুরু করেছে। মূল রাস্তাগুলি থেকে জল নামলেও, গ্রামগুলি এখনও জলবন্দি। উদয়নারায়নপুর থেকে রাজাপুর হয়ে হাওড়া পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। পাঁচারুলেও বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর এখনোও ৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯০টি গ্রাম জলমগ্ন। ১১৭টি ত্রাণ শিবিরে প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে এদিন বন্যা দুর্গত কানুপাট-মনশুকা এলাকায় ত্রাণ বিতরন করেন হাওড়া জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুলেখা পাঁজা। এদিন কুরচি শিবপুর এলাকায় ত্রাণ বিতরন করেন হাওড়া গ্রামীন জেলা পুলিস সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া। অপরদিকে উদয়নারায়নপুর থেকে জল নেমে আমতায় গিয়ে জমা হতে থাকায়, সংশ্লিষ্ট ২নং ব্লকের বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত। এখনও সেহগড়ি মোড় থেকে আমতা- উদয়নারায়নপুর, আমতা- জয়পুর ও জয়পুর-ঝিকিরা রাস্তা এখনও জলমগ্ন। কোথাও এক হাঁটু, কোথাও আবার এক কোমর আবার কোথাও গলা অবধি জল। আর এই জল পেরিয়েই মানুষকে প্রয়োজনীয় কাজে বের হতে হচ্ছে। এদিকে ব্লকের বন্যা কবলিত ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে কিছুটা জল নামলেও ঝামটিয়া, থলিয়া, ঝিকিরা এবং অমরাগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছুটা অংশে নতুন করে জলস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে দীপাঞ্চলে উত্তর ভাটোরায় বন্যা পরিস্থিতির সেভাবে উন্নতি না হলেও, প্লাবিত দক্ষিণ ভাটোরার পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও ২৭টি ত্রাণ শিবিরে চার হাজার মানুষ রয়েছে। আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল জানান, শিবিরগুলি ছাড়াও বন্যা দূর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ও পানীয় জলের পাউচ পাঠানো হচ্ছে।