অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, আকনা আশ্রমে পুজো দিয়ে এদিন সকাল ১০টা নাগাদ দামোদর নদীর আকনা ঘাটে স্নান করতে নামেন নমিতাদেবী। তখনই আচমকা তিনি জলে পড়ে যান এবং স্রোতে পড়ে জয়নগরের দিকে ভেসে যেতে থাকেন। এদিকে ওই বধূকে নদীতে ভেসে যেতে দেখে নদীর পাড়ে থাকা মানুষজন চিৎকার করতে থাকে। তখন নদীর পাড়ে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন আকনার বাসিন্দা রাকেশ সামন্ত। তিনি বাইক নিয়ে নদীর পাড় ধরে জয়নগরের দিকে রওনা দেন। অপরদিকে চকঠাকুরানি এলাকায় নদীর পাড়ে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সৌমেন মালিকও বিষয়টি দেখে বাইক নিয়ে জয়নগর ব্রিজের দিকে রওনা দেন। এদিকে, ততক্ষণে বধূর নদীতে ভেসে আসার বিষয়টি জানাজানি হয়ে গিয়েছে। জয়নগর ব্রিজের উপর অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যায়। কিছু পরে চলে আসে উদয়নারায়ণপুর ও পেঁড়ো থানার পুলিসও। ওই বধূকে বাঁচাতে ব্রিজের উপর থেকে ৫/৬টি দড়ি নদীতে ফেলা হয়। তবে জলের এমন তীব্র স্রোতে ওই মহিলা দড়ি ধরতে পারবেন কি না, এই চিন্তা থেকে রাকেশ ও সৌমেন ব্রিজের উপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, এরপর দুই যুবক প্রাথমিকভাবে নদীতে ভেসে আসা ওই বধূর হাত ধরে তাঁকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু জলের স্রোত থাকায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে যুবকদের হাত ফসকে তিনি ফের জলে ভেসে যান। যদিও পরে নয়াচক সিনেমাতলার কাছে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে দুই যুবক ওই বধূকে জল থেকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই মহিলা সম্ভবত সাঁতার জানতেন। তাই প্রায় চার কিলোমিটার স্রোতের সঙ্গে লড়াই করে ভেসে থাকতে পেরেছিলেন। ডুবে যাননি। রাকেশ জানান, ওই বধূর ভেসে যাওয়ার খবর কানে আসার পরেই তাঁকে বাঁচাতে বাইক নিয়ে রওনা দিই। চকঠাকুরানির কাছে সৌমেনকে নিয়ে একবার উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পারিনি। পরে জয়নগর ব্রিজের উপর দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করি।