শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্ত লাগোয়া বিধানসভা কেন্দ্র হল বাগদা। বাম জমানায় ফরওয়ার্ড ব্লক এই আসনে জিতত। তারপর ২০১১ সালে বাগদায় জয় পায় তৃণমূল। জেতেন উপেন বিশ্বাস। ২০১৬ সালে বিধায়ক হয়েছিলেন দুলাল বর। ২০২১ সালে এই কেন্দ্রে বদল হয়। বিজেপি জেতে। বিধায়ক হন বিশ্বজিৎ দাস। তিনি অবশ্য পরে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৯ ও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বাগদার মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বাগদা ব্লকের ১২টি পঞ্চায়েতের মধ্যে তিনটি দখল করে বিজেপি। এই উপ নির্বাচনে বাগদা পুনরুদ্ধার করতে মতুয়া অধ্যুষিত কেন্দ্রে ঠাকুরবাড়ির প্রতিনিধি মধুপর্ণা ঠাকুরকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়মা বীণাপাণি দেবীর বড় ছেলে কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর। তাঁর কন্যা মধুপর্ণা। তিনি সেভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন না। তবে তাঁর মা মমতা ঠাকুর রাজ্যসভার সাংসদ। কয়েক মাস আগে বড়মা বীণাপাণি দেবীর ঘরে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তা নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তখন বিরোধিতায় অনশনে বসেছিলেন মধুপর্ণাদেবী। এরপর প্রতিবাদী চরিত্রের জন্য তৃণমূলের নজরে আসেন তিনি। স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরেও চলে আসেন। তারপরই মধুপর্ণাদেবীকে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে টিকিট দেন মমতা। এত কম বয়সে এত বড় দায়িত্ব পাওয়ার পর অবাক হয়েছিলেন মধুপর্ণা।
এখন জেতার জন্য লাগাতার প্রচার করছেন। দলের হেভিওয়েট নেতারা এলাকায় এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন। প্রচারে তৃণমূলের আমলে উন্নয়নের বিবরণ দিচ্ছেন নেতারা। পাশাপাশি সর্ব কনিষ্ঠ প্রার্থীকে জিতিয়ে ইতিহাস গড়ার জন্য মানুষকে আহ্বানও জানাচ্ছেন নেতারা। প্রসঙ্গত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের আমলে সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ২৬ বছর বয়সে ওড়িশায় বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে বিধায়ক হন উপাসনা মহাপাত্র। ফলে বাগদা থেকে মধুপর্ণাদেবী জিতলে সুব্রতবাবু ও অন্যদের রেকর্ড ভাঙা পড়বে। রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ বাগদা উপ নির্বাচনের দায়িত্বে। তিনি বলেন, ‘মধুপর্ণা জিতবে আর সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হবে। আমরা তাই বিশ্বাস করি। সেই মতো প্রচার করছি।’ সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরবাড়ি থেকে ছোট একটি মেয়েকে প্রার্থী করেছে। ওর এখনই কাজের যে মানসিকতা তা দেখলে অবাক হতে হয়। আমরা বুথে বুথে মানুষকে উন্নয়নের কথা শোনাচ্ছি। একইসঙ্গে সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক পাওয়ার জন্য ভোট চাইছি। বিজেপির নিজেদের মধ্যে প্রবল দ্বন্দ্ব। ফলে আমরা জিতেই গিয়েছি প্রায়।’ আর বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘ওরা যতই নিত্যনতুন ইস্যু নিয়ে প্রচার করুক কোনও লাভ হবে না। বাগদার মানুষ বিজেপিকেই জেতাবে এই ভোটেও।’