শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন আগে সাগরের একটি স্কুলের প্যাডে ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকদের সতর্ক করতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কারভাবে একটি ছেলেধরার কাহিনী উল্লেখ করা হয়। তবে এই স্কুলের প্যাডে কোনও তারিখ ও শিক্ষকের স্ট্যাম্প ও সই ছিল না। বিজ্ঞপ্তিটি ছাত্রছাত্রীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেওয়া হয়েছিল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তিটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে মুছেও ফেলা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে, ছেলেধরার কাহিনীটি সম্পূর্ণ গুজব ছিল। এরপরই ওই স্কুলের প্যাডে দুঃখপ্রকাশ করে আর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয়টির থেকে প্রথম বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক মাধ্যমে বেশি ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকদিন পর দেখা যায়, সাগরের আরও একটি স্কুল তাদের প্যাডে ছেলেধরার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই গুজবকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত মানুষের মনের ভয় কাটাতে পুলিস ও ব্লক প্রশাসনকে ছেলেধরা গুজবের বিষয়ে মাইকিং করতে হয়। পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই এলাকায় কোনও ছেলেধরার ঘটনা ঘটেনি। তাই ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কেউ যদি ছেলেধরার কোনও গুজব ছড়ায়, তবে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।