শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
সমীক্ষাটি বলছে, এই সমস্ত শহরের বাতাসে ক্ষুদ্র ধূলিকণা অর্থাত্ পিএম ২.৫ এর পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিরাপদ সীমা অতিক্রম করছে। এগুলিই ফুসফুস ও রক্তে সহজে প্রবেশ করে। ওই সংস্থার দাবি, এই ফলাফলের জন্য দশটি শহরের পিএম ২.৫ এক্সপোজারের হার সমীক্ষা করার সঙ্গে ২০০৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যার তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিষয়ে ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক অরূপ হালদার বলেন, ‘নীতিতে পরিবর্তন না করলে সার্বিক বায়ুদূষণ রোধ করা যায় না। আমরা ঘরের দূষণ রোধ করতে পারি। যেমন, ঘরের মধ্যে ধূপ জ্বালানো, ধূমপান বন্ধ করা, গাছ লাগানো এগুলো করতে হবে। পাশাপাশি ঘরে যেন বাতাস চলাচল করে, রোদের আলো আসে, সেদিকটাও দেখা দরকার।’
প্রতিনিয়ত শহরে বায়ুদূষণ বৃদ্ধি নিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করছেন পরিবেশকর্মীরা। এই বিষয়ে পরিবেশ কর্মী নব দত্ত বলেন, ‘এখানে নিয়ন্ত্রণবিহীন গাড়ি, নির্মাণকার্য চলছে। তার সঙ্গে আছে কয়লার জ্বালানি। নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ১৫ বছরের পুরনো যানবাহনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। সবটাই প্রকৃতির উপর ছেড়ে দিলে হয় না। শুধু গবেষণা করে সমাধান হবে না। কাজগুলো করতে হবে।’ এই সমীক্ষাটি পরিচালনা করেছেন ভারত সহ বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষকরা।
এই বিষয়ে পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী জানান, ‘সারা বছরই প্রায় বায়ুদূষণের প্রকোপে পড়তে হচ্ছে। কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি, চেন্নাইয়ের নাম বারবার উঠে আসছে। এখানে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা বায়ুদূষণের জন্য বাড়ছে। এটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে উঠে আসছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ ফুটের মধ্যে দূষণ থাকছে। তাই শিশুদের উপরও প্রভাব পড়ছে। কলকাতায় সারাক্ষণ নির্মাণকাজ চলছে। রাস্তাতেও ভাঙন হচ্ছে। সেখান থেকেও বায়ুদূষণ হচ্ছে। এখন প্রচুর পরিমাণে রাস্তা ধোয়া, স্প্রিংলার দিতে হবে।’ যদিও এই সমীক্ষার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেছেন, ‘যদি স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য হয় তবেই গ্রহণযোগ্য। কাল্পনিক তথ্য গ্রহণযোগ্য নয়।’