উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা সমীক্ষায় শিক্ষকদের ভূমিকা, মিড ডে মিল, স্কুলের পরিবেশকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের স্কুলে অনুপস্থিতির প্রেক্ষিতে চালু কথা হল, ‘উনি স্কুলের কাজে শিক্ষাদপ্তরে গিয়েছেন’। এই মিথ ভাঙতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে অনুপস্থিত শিক্ষক যে অফিসে গিয়েছেন বলা হবে, সেখানে ফোন করে যাচাই করা হবে তিনি অদৌ গিয়েছিলেন কি না। হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, কোনও শিক্ষককে অবিশ্বাস করা আমাদের কাজ নয়। সার্বিকভাবে জেলার শিক্ষার পরিবেশ ও পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আমরা সমস্ত স্কুলের বাস্তব তথ্য হাতের কাছে রাখতে চাইছি, যাতে স্কুলের পরিকাঠামো ও পরিবেশ উন্নত করতে দ্রুত পদক্ষেপ করা যায়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া বলেন, স্কুলের নতুন শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ থেকে শৌচাগার তৈরি, সীমানা প্রাচীর থেকে পানীয় জল, সমস্ত পরিকাঠামো সুগঠিত করার নীল নকশা আমরা তৈরি করছি।
জেলা পরিষদের শিক্ষাবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের পরিবেশ ও পরিকাঠামো নিয়ে নানা অভিযোগ সম্প্রতি কর্তাদের নজরে এসেছে। তারপরেই মঙ্গলবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে জেলার সমস্ত স্তরের শিক্ষাকর্তা ও ব্লকের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষদের তলব করা হয়েছিল। সেই বৈঠকেই বাস্তব অবস্থা জানার জন্য পদক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরেই জেলার প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যামিক স্কুলের বাস্তব অবস্থা যাচাই করার জন্য ব্লকে ব্লকে সমীক্ষা ও সরেজমিন তদন্তের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে জনপ্রতিনিধিদের নামানো হয়েছে। জেলা পরিষদের এক পদস্থ কর্তা বলেন, স্কুলের যা প্রয়োজন সেটা আমরা মেটাব। কিন্তু শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করার দায়িত্ব স্কুলকে নিতে হবে। এটাই সমীক্ষা ও সরেজমিন তদন্তের মূল কথা।
।।ছবি আছে।।