চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
বেউর জেল সূত্রে খবর,পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের অফিসাররা পৌঁছনোর পর সুবোধকে সেল থেকে বাইরে এনে বসানো হয়েছিল একটি চেয়ারে। তার উল্টো দিকে ছিল তদন্তকারী দলের সদস্যরা। জেল সুপারের সামনে চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে কথা বলতে অভ্যস্ত গ্যাংস্টার একই ভাবে বসেছিল সিআইডি অফিসারদের সামনেও। এই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখিয়ে যাতে বুঝিয়ে দেওয়া যায়, এখানকার নিয়ন্ত্রক সে’ই। তার মর্জিতেই সবটা চলবে। অপরাধীদের মনস্তত্ব ঘেঁটে তাদের মানসিকতা বুঝে নিতে অভ্যন্ত সিআইডি’র দুঁদে গোয়েন্দারা বুঝে যান, সুবোধকে কোনওভাবে তার স্টাইলে চলতে দেওয়া যাবে না। প্রতি পদক্ষেপে বুঝিয়ে দিতে হবে, সে অপরাধী। পা নামিয়ে বসার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রথমে রাজি না হলেও, তদন্তকারীদের কড়া চাউনিতে ‘ডন’ বুঝে যায়, এবার সবটা তার নিজের ইচ্ছেমতো চলবে না।
রাজ্য পুলিসের শীর্ষস্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কুখ্যাত এই গ্যাংস্টারকে তদন্তকারীরা প্রশ্ন করেন, তার গ্যাং মেম্বাররা রাজ্যে কোথায় কোথায় ছড়িয়ে রয়েছে? ২০১৭-২৪ এই সাত বছরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সোনার দোকান ও স্বর্ণঋণদানকারী সংস্থায় লুটের পর সোনা কোথায় রাখা রয়েছে? পাশাপাশি সিআইডি আধিকারিকরা বলেন, তার (সুবোধ সিং) নির্দেশমতো বাংলায় একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসব শুনে এরপর সুবোধ সরাসরি তদন্তকারীদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জানতে চায়, সে’ই যে ডাকাতি করাচ্ছে, তার কী প্রমাণ আছে? ছ’বছর ধরে জেলে থাকা অবস্থায় কীভাবে অপরাধ করবে এবং শাগরেদদের নিয়ন্ত্রণে রাখবে। গোটাটাই তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ কে কে দিয়েছে, এই প্রশ্নও করে বসে। তার কোনও গ্যাংই নেই। বিহার এসটিএফ প্রমাণই করতে পারেনি যে, সে সোনা লুট করে বেড়ায়। তার চ্যালেঞ্জের ভঙ্গিমাতেই তদন্তকারীরা বুঝে যান ডনের লক্ষ্য নিজেকে আড়াল করা। কৌশলে জেনে নেওয়া তদন্তকারী সংস্থা কী পেয়েছে।
তদন্তকারীরা বলেন, যথেষ্ট প্রমাণ, নথি ও বয়ান আছে। সব আদালতে জানানো হবে। তবে নথি না রেখে কাজ করা তার কৌশল, এই কথাতেই জড়িয়ে যায় গ্যাংস্টার। পুলিসের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে জেলেরই এক কর্মী সুবোধকে ভিওপি কল করতে সাহায্য করেছিল বলে জানা যাচ্ছে। ওই কর্মীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।