চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, রাজা প্রাণহানির আশঙ্কা করছিলেন। সেই কারণেই বারবার ঠিকানা বদলেছেন। চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরে তাঁর পরিবারের সদস্যদের অন্য বাড়িতে রেখেছেন। নিজে কালনায় চলে আসেন। কালনা স্টেশনের পাশে চায়ের দোকান রয়েছে স্বপন মাঝির। পাশাপাশি জুয়ার বোর্ডও চালান তিনি। কয়েক মাস ধরে তাঁর চায়ের দোকানে যাতায়াত শুরু করেছিলেন রাজা। স্বপনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠায় তাঁর বাড়িতে থাকা-খাওয়া শুরু করেন। সোমবার সন্ধ্যার পর রাজা চায়ের দোকানেই ছিলেন। রাত পৌনে ১০টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে রাজা ঘরে খেতে বসেন। সেইসময় কয়েকজন দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকে খুব কাছ থেকে মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় রাজা ভাতের থালার উপর মুখ থুবড়ে পড়েন। স্বপন তখন ঘরে ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। দুষ্কৃতীরা বাইরে বেরিয়ে এলে স্বপন চিৎকার শুরু করেন। তখন দুষ্কৃতীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি বাইকে চেপে পালিয়ে যায়। দুষ্কৃতীরা চারজন ছিল বলে এলাকার বাসিন্দারা জানান। খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিস, জিআরপি ও আরপিএফ ঘটনাস্থলে আসে। জখম অবস্থায় রাজাকে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। খুন হওয়া রেলের জায়গাটি খুবই নিরিবিলি। আলো খুব বেশি নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুষ্কৃতীরা আগে থেকে রেকি করে গিয়েছিল। কখন রাজা দোকানে থাকে, কোন সময় এলাকায় লোকজন কম থাকে তা দেখে যায়। রাজার গতিবিধির উপর লক্ষ্য রেখেই অপারেশন চালায়।
এলাকার বাসিন্দা দীপালি দাস বলেন, বন্দুক হাতে একজনকে ফাঁকা গুলি করে বাইকে চড়ে পালিয়ে যেতে দেখি। ভয়ে ঘরে ঢুকে পড়ি। আতঙ্কে রয়েছি। এদিন কালনা হাসপাতালে মৃত যুবকের স্ত্রীকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোনও উত্তর দিতে রাজি হননি।