চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
লক্ষ্মীকান্তবাবুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পর ফের তিনি শিবতলায় যান দোকান-বাজার করতে। অভিযোগ, সেই সময় রাস্তায় তাঁর পথ আটকে তৃণমূল আশ্রিত কুড়ি-বাইশজন দুষ্কৃতী ব্যাপক মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরিবারের দাবি, দুষ্কৃতীরা লক্ষ্মীকান্তবাবুর হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে। আহত বিজেপি নেতার স্ত্রী পিউ দে বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে স্বামী বিজেপির বুথ এজেন্ট হওয়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। গত রবিবার রাতে জনাকয়েক দুষ্কৃতী আমাদের বাড়িতে মদের বোতল ও বোমা মেরেছে। এমনকী, সদর দরজায় লাথিও মারে। পিউদেবীর অভিযোগ, সোমবার রাতে স্বামী দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন। তাঁকে ব্যাপক মারধর করে ফেলে রেখে ওরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর আমাদের কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।
আহত ওই বিজেপি কর্মীকে দেখতে ওই রাতেই উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজে যান বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলার সভাপতি অরুণোদয় পালচৌধুরী। তিনি বলেন, গোটা রাজ্যেই বিজেপি কর্মীদের মারধর করছে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা। এ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলতে যে কিছু নেই, তা আবার প্রমাণ হল। আহত বিজেপি নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হবে। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা। তিনি বলেন, আমি শুনেছি মদ খাওয়া নিয়ে নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে ওই ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। প্রচারের আলোয় আসার জন্যই বিজেপি এইসব আজগুবি গল্প বানাচ্ছে।