চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত পিয়াল অধিকারী বলেন, এবার বিশেষ যোগে স্নানযাত্রা উৎসব হয়েছে। সেকারণে রথযাত্রাও বিশেষভাবে ভক্তদের কাছে আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে। রথ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে এই বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। এমনিতেই লক্ষাধিক ভক্তের সমাগমে রথের সময় মাহেশ গমগম করে। এবার তার পরিধি আরও বাড়বে। প্রশাসন জানিয়েছে, ড্রোন, সিসি ক্যামেরা সহ নিরাপত্তার যাবতীয় বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে। গুপ্তিপাড়া রথ আয়োজক কমিটির অন্যতম কর্তা বিশ্বজিৎ নাগ বলেন, মঙ্গলবার রথের আয়োজন দেখতে মহকুমা শাসক এসেছিলেন। আমাদের রথযাত্রায় সিসি ক্যামেরার নজরদারি রাখা হচ্ছে। জলপথে বহু মানুষ গুপ্তিপাড়ার রথ দেখতে আসেন। সেখানে বিশেষ পরিষেবা ও নজরদারি রাখা হচ্ছে। জলে ও স্থলে কুইক রেসপন্স টিম রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি, ১৫ দিন ধরে গুপ্তিপাড়ায় রথের মেলা চলবে। তা নিয়েও নানা রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
হুগলিতে প্রায় প্রতিটি জনপদেই রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। চন্দননগর, সিঙ্গুর সহ একাধিক জায়গায় রথযাত্রা উৎসব হয়। কিন্তু মাহেশ ও গুপ্তিপাড়া পৃথকভাবে ভক্তদের আকর্ষণ করে। মাহেশের রথযাত্রায় রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নিজে এসেছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর উপন্যাসে মাহেশের রথযাত্রাকে নায়ক-নায়িকার সাক্ষাতের প্রেক্ষাপট হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। রাজ্য সরকারও মাহেশের মন্দিরকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কাজ থেকে রথযাত্রার আয়োজনে সাহায্য করে। ৬২৮ বছরে পা দেওয়া এই রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই মাহেশে সাজসাজ রব পড়ে গিয়েছে। বিপুল ভক্ত সমাগমের কথা মাথায় রেখে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। সাদা পোশাকের পুলিস থেকে পুলিস ক্যাম্প, হেলথ ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্বিশতবর্ষ পার করা গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রাকেও নিরাপত্তা বলয়ে রাখা হচ্ছে। গুপ্তিপাড়ায় গঙ্গা পেরলেই নদীয়া জেলা। অসংখ্য ভক্ত সেখান থেকে জগন্নাথদেব দর্শনে আসেন। তাই জলপথে অতিরিক্ত ভেসেল চালানোর পাশাপাশি নিরাপত্তাতেও বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে।