চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
গুলি চালানোর ঘটনা জানার পর পুলিস তদন্তে নেমে বিভিন্ন মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে। এমনকী যে চিকিৎসক ওই ব্যবসায়ীকে দেখছিলেন, তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেন তদন্তকারী অফিসাররা। অশোকবাবুর ডান হাতে গুলি লেগেছিল। সেই ক্ষতচিহ্ন দেখে পুলিসের মনে হয়েছে, পুরোটাই পরিকল্পিত। কারণ অন্য কেউ গুলি করলে যেমন ক্ষত হবে, তার থেকে আলাদা ছিল ওই ব্যবসায়ীর আঘাত। তিনি নিজেই নিজেকে গুলি চালিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিস। ফলে সোমবার রাতে কোনও লুটের ঘটনাই ঘটেনি। খোয়া যায়নি কোনও টাকাও।
মঙ্গলবার সকালে ওই ব্যবসায়ীর পরিবার ও অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেন তদন্তকারী অফিসাররা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অশোকবাবুকেও। কিন্তু তাঁর কথায় বারে বারে অসংগতি উঠে আসায় সন্দেহ দানা বেঁধেছিল পুলিসের মনে। তাই একটু চাপ দিতেই সত্য কথা বেরিয়ে আসে তাঁর মুখ থেকে। তবে এই ঘটনায় অশোকবাবুকে কেউ সাহায্য করেছিল বলে মনে করছে ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলা। কে বা কারা তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিল, তার খোঁজ শুরু করেছে মগরাহাট থানা। মিথ্যে ঘটনা ঘটানোর জন্য ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন পুলিস সুপার রাহুল গোস্বামী। তিনি এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, আপাতত চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। আরও তদন্ত প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। এইসব মিটলেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অশোকবাবুকে।